টাঙ্গাইলে চাঁদাবাজির অভিযোগে এসআই ক্লোজড
হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে টাঙ্গাইল মডেল থানার একজন এসআইকে ক্লোজ করা হয়েছে। রোববার সকালে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানা থেকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে।
ক্লোজ হওয়া এসআই হলেন জেসমিন আক্তার। তার বিরুদ্ধে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার।
জেমসমিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ এনে গেল শনিবার রাতে থানা ঘেরাও করে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেলতা গ্রামের কয়েকশ মানুষ। এ সময় এলাকাবাসী জেসমিনের বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
পরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাত নয়টার দিকে থানা চত্বর ত্যাগ করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছুদিন আগে বেলতা গ্রামে একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নামে এসআই জেসমিনের সোর্স পরিচয়ে আবু বাক্কার নামের এক ব্যক্তি স্থানীয়দের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে হত্যা মামলায় আসামি করার হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়াও গ্রামের মানুষদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।
একইভাবে শনিবার বিকেলের দিকে ওই সোর্স বেলতা গ্রামের হাজী আয়নাল হোসেনের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ওই হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে শাসানো হয় তাকে।
এ ঘটনার পর গ্রামবাসী আবু বাক্কারকে আটক করে। খবর পেয়ে এসআই জেসমিন তাকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসী তাকেও ঘিরে ধরে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে। এদিন সন্ধ্যার পর গ্রামবাসী একত্র হয়ে জেসমিনের বিচার চেয়ে থানা ঘেরাও করে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় আরটিভি অনলাইনকে জানান, জেসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি/পি
মন্তব্য করুন