• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৫০
সহকারী অধ্যাপক মো. আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ; ছবি: আরটিভি অনলাইন

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাযেন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান, সহকারী অধ্যাপক মো. আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মো. আক্কাস আলীকে চাকরিচ্যুত ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শুরু করে। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে। এসময় দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- ভুক্তভোগী ছাত্রীদের আর কোনও হয়রানি না করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষক ছাত্রীদের কার্যদিবস ব্যতীত অফিস ছাড়া অন্য কোথাও না ডাকা। কোনও শিক্ষার্থীকে কোনও শিক্ষক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি দিতে পারবেন না। এরকম কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিভাগ ভিত্তিক ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া।

শনিবার ওই শিক্ষক কর্তৃক দুই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অডিও রেকর্ড ভাইরাল হওয়ায় ক্যাম্পাসে তোলপাড় শুরু হয়। ক্যাম্পাস জুড়ে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

যৌন নিপীড়নের শিকার দুই শিক্ষার্থী জানান, ওই শিক্ষক কৌশলে দুই শিক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষার্থীর থিসিসের দায়িত্ব নেন। এরপর বিভিন্ন সময় ওই শিক্ষক তাদের বাসায় ও ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকতেন এবং শরীর স্পর্শ করতেন। মোবাইল ফোনে ডেকে এনে তাদেরকে কুপ্রস্তাব দিতেন। পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তিনি এ সুযোগ নিতেন। ফাইনাল পরীক্ষা শেষে ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি বরং বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আক্কাস আলী বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্স-এর শিকার হয়েছেন। একই বিভাগের অন্য শিক্ষকের সঙ্গে বিভাগীয় প্রধান হওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ঝামেলা চলে আসছিল। তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের দিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল যেদিন প্রকাশ হতে পারে
থ্রি-হুইলার ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ 
চবির শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
দেশসেরার তালিকায় ৪৩তম গণ বিশ্ববিদ্যালয়
X
Fresh