• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

টেকনাফে পৃথক ‌‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা নারীসহ নিহত ৩

টেকনাফ প্রতিনিধি

  ৩১ মার্চ ২০১৯, ০৯:২৬

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি’র সঙ্গে আলাদা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও বিজিবির দাবি তারা ইয়াবা ব্যবসায়ী। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি এলজি বন্দুক, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১৮টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত

আজ রোববার ভোরে উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এবং একই উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী নাফ নদীর তীরে বিজিবির সঙ্গে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আরটিভি অনলাইনকে জানান, রাতের প্রথম প্রহরে উপজেলার হ্নীলা মৌলভীবাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ী দু’গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় মাদক ব্যবসায়ীরা কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এসময় পুলিশের এসআই দীপক, এএসআই আমির ও কনস্টেবল শরীফুল আহত হন। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ৬টি দেশীয় অস্ত্র, ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১৮টি তাজা কার্তুজসহ রক্তাক্ত ও গুলিবিদ্ধ দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে নেয়া হয়। পরে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- উপজেলার হ্নীলা আলী আকবর পাড়ার মিয়া হোছনের ছেলে মাহমুদুর রহমান (২৮) ও হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া মইন্যাজুমের নুররুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আবছার (২৫)। আবছার দীর্ঘ দিন ধরে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেকপোস্ট এলাকা শ্বশুরবাড়ি থেকে ইয়াবা ব্যবসার লেনদেন করে আসছিল বলে জানায় পুলিশ।

নিহতদের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলার রয়েছে। পলাতক থাকায় পুলিশ তাদের খুঁজছিল। মৃতদেহ মর্গে পোস্টমর্টেম করা হচ্ছে বলেও ওসি জানান।

অপরদিকে ২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শরিফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবার একটি বড় চালান এপারে প্রবেশ করবে। এ সংবাদে ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে একটি বিশেষ টহল দল নাফনদীতে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পরে ওমরখাল পয়েন্ট দিয়ে নৌকাযোগে একদল রোহিঙ্গা ইয়াবার চালান নিয়ে অনুপ্রবেশ সময় বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবির উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে এবং ফাঁকাগুলি করে। বিজিবিও পাল্টা গুলি করে। পরে চোরাকারবারিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত মহিলার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা ও ঘটনাস্থল তল্লাশি করে করে ২টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, ব্যাগে পাওয়া তার আইডি কার্ড থেকে পরিচয় মিলে। তিনি মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মণ্ডু থানার রাইম্যাবিলের বদরুল ইসলামের স্ত্রী রুমানা আক্তার (২০)। বর্তমানে লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তির ব্লক নং-সি/৬ এর ৪০ নম্বর রুমে বসবাস করে আসছে।

এই ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর নিহত মহিলাকে মর্গে প্রেরণ করা হয় বলেও জানান তিনি।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদেও থামেনি বিস্ফোরণ, কাঁপল টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন সীমান্ত
মিয়ানমার থেকে আবারও ভেসে আসছে গোলাগুলির শব্দ
থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে টেকনাফ সীমান্তে 
আবারও টেকনাফ সীমান্তে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ
X
Fresh