• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পলিথিন দিয়ে জ্বালানি তেল তৈরি করছেন মান্দার ইদ্রিস আলী

নওগাঁ প্রতিনিধি

  ২৯ মার্চ ২০১৯, ১১:৩৫

নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী। ছোটবেলা থেকেই নতুন কিছু উদ্ভাবনের শখ তার। ব্যাটারিচালিত গাড়ি, ব্যাটারির সাহায্যে চালিত ওয়েল্ডিং মেশিনসহ প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় কত কি না তৈরি করেছেন তিনি। তাই হোসেনপুর গ্রামের সকলের কাছেই তিনি বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত। এবার তিনি পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করছেন জ্বালানি তেল, পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাস।

১৯৮৫ সালে অষ্টম শ্রেণি পাস করেছেন ইদ্রিস আলী। তবে অভাবের কারণে পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। নিজের জায়গা-জমি বলতেও কিছুই নেই তার। শ্বশুরের দেয়া সামান্য জমিতে পাঁচ ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাড়ি করে থাকেন।

স্বশিক্ষিত এ মানুষটি তার প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করেছেন জ্বালানি তেল ও বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই ওয়েল্ডিং বা ঝালাই মেশিন। তার এ প্রতিভাকে একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তার এ প্রতিভা বিকশিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী।

ইদ্রিস আলী বলেন, পরিত্যক্ত ও নোংরা পলিথিন থেকে জ্বালানি তেল তৈরি করা হচ্ছে এমন একটি ভিডিও তিনি ইউটিউব চ্যানেলে দেখেছেন। আর এ বিষয়টি তাকে গত তিন মাস থেকে ভাবাচ্ছে। এরপর তিনি বাস্তবে সেই ভাবনাকে রূপদান করেন। মাত্র পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে বাজার থেকে তেলের একটি বড় টিনের ড্রাম (ব্যারেল), একটি মাঝারি প্লাস্টিকের ড্রাম, ছোট দুইটি কন্টেইনার, প্রায় ১৫ ফুট স্টিলের চিকন পাইপ ও কয়েক হাত প্লাস্টিকের ফিতা কেনেন। এরপর গেল ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে জ্বালানি তেল তৈরি শুরু করেন তিনি।

নোংরা ও পরিত্যক্ত পলিথিন ১০ টাকা কেজি করে টোকাইদের কাছ থেকে কিনে নেন। এরপর বিশেষ প্রক্রিয়ায় পলিথিনগুলো টিনের ড্রামে ভরে প্রায় আধাঘণ্টা লাকড়ি দিয়ে জ্বাল দেন। এরপর ড্রাম থেকে নির্গত গ্যাস স্টিলের পাইপ দিয়ে এসে প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে রাখা পানিতে ঠাণ্ডা হয়ে কন্টেইনারে জমা হচ্ছে। সাত কেজি পলিথিন থেকে প্রায় পাঁচ লিটার পেট্রল জাতীয় পদার্থ, আধা লিটার ডিজেল বের করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এ পেট্রল ইতোমধ্যে মোটরসাইকেলে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়েছে।

এ জ্বালানি সব খরচ বাদ দিয়ে ৬০ টাকা লিটার হিসেবে বাজারজাত করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। তবে টাকার অভাবে আধুনিক যন্ত্র কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার মুশফিকুর রহমান বলেন, ইদ্রিস আলীর উদ্ভাবনটির কথা শুনেছি। তবে এর কার্যকারিতা কতটুকু ও পরিবেশবান্ধব কিনা তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যাবে। তবে আমরা তাকে স্বাগত জানাই।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৪০০ সিসির পালসার বাজারে আসার আগেই ফাঁস হলো দাম
কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত
বিশ্ববাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
দেশের বাজারে আরও কমলো স্বর্ণের দাম 
X
Fresh