• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের একজন নারায়ণগঞ্জের ওমর ফারুক

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৭ মার্চ ২০১৯, ১২:০০

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার পর থেকে নিখোঁজ থাকা নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ওমর ফারুক মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন পরিবারের সদস্যরা।

পরিবার জানায়, সেখানে থাকা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ওমর ফারুকের পরিবার এ খবর পেলেও এখনও সরকারিভাবে ঘোষণা হয়নি।

নিহত ওমর ফারুক বন্দর রাজবাড়ি এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। নিখোঁজ থাকার পর তার মৃত্যু সংবাদে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ফারুক নিউজিল্যান্ডের একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করেন। নিউজিল্যান্ডে থাকা বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি প্রবাসী এ বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। সেখানে ৪ জনের মৃত্যুর তালিকাতে ওমর ফারুকের নাম রয়েছে।

------------------------------------
আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
------------------------------------

তাছাড়াও শনিবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন মুনতাসিম, শেখ হাসান রুবেল, শাহজাদা আক্তার, ওমর ফারুক ও লিপি।

পরিবারের দাবী, যে মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে প্রতি শুক্রবার ওই মসজিদে জুমআর নামাজ আদায় করতো ফারুক। শুক্রবার হামলার পর থেকেই তার আর কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।

ওমর ফারুক ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর তিনি নিউজিল্যান্ডে চলে যায়। গত বছরের ১৬ নভেম্বর ছুটিতে দেশে আসেন তিনি। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি পুনরায় নিউজিল্যান্ড চলে যান। স্ত্রী নিহা বর্তমানে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এক ভাই ও তিনবোনের মধ্যে ওমর ফারুক দ্বিতীয়। সর্বশেষ ফারুকের সঙ্গে কথা হয় গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫১ মিনিটে নিউজিল্যান্ড সময় শুক্রবার সকাল ৮টায়। এরপর থেকে মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায় তার।

বন্দর থানা পুলিশের ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলার সময় ওই মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন ওমর ফারুক। তবে তার মৃত্যুর খবরটি সঠিকভাবে অবগত না।

স্বজনদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিহত ফারুকের মরদেহ যাতে বাংলাদেশে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং পরিবারকে সরকার যেন আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিয়ে সহযোগিতা করে।

এদিকে ফারুকের মা রহিমা বেগম বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। অনেকে তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। কিন্তু কোনও কিছুই তাকে থামাতে পারছে না। তার একটাই দাবি, ছেলেকে অক্ষত অবস্থায় যেন তার বুকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

আরো পড়ুন:

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চিরনিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক ওমর ফারুক
সাংবাদিক ওমর ফারুক শামীম আর নেই
X
Fresh