উপজেলা নির্বাচন: গাংনীতে আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিরুল ইসলামের আরও একটি নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠেছে।
বুধবার মধ্যরাতে দুর্বৃত্তরা বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের নির্বাচনী প্রচারণা অফিসের চেয়ার, টেবিল ভেঙে অফিস গুড়িয়ে দেয় বলে জানা গেছে।
অভিযোগ আছে, এর আগে গেল ১১ মার্চ রাতে পোড়াপাড়া বাজারে মজিরুল ইসলাম ও ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখনের নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর লোকজন।
মজিরুল ইসলামের কর্মী বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে ময়নাল হোসেন বলেন, আমরা রাত বারটা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম। গভীর রাতে কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে এসে চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে। অফিসের ছাউনি ও তিন দিকে ঘেরার কাজে ব্যবহৃত সামিয়ানা কাপড় ছিঁড়ে দেয় এবং বাঁশের খুঁটি কেটে দেয়। এর আগে সন্ধ্যায় নৌকা প্রতীকের কর্মীরা আমাদেরকে অফিস সরিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিরুল ইসলামের।
মজিরুল ইসলাম আরও বলেন, বুধবার বিকেলে কাজিপুর ইউনিয়নের হাভাভাঙ্গা মাদরাসা পাড়ায় অফিস তৈরি করতে গেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু নাতেকের নেতৃত্বে বাধা দেয়া হয়। বাধার মুখে অন্য স্থানে অফিস করতে হয়েছে।
---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : সাড়ে চার ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল শুরু
---------------------------------------------------------------------
এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে উত্তাপ বিরাজ করছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা অফিস ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি যাচ্ছে সংঘাতের দিকে। একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একই দলের অঙ্গ সংগঠনের তিন নেতা। ফলে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন বলেন, আমরাও তো দল করি। কিন্তু নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার লোকজন যা করছে তাতে দলের মধ্যে নতুন বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে।
গাংনী থানার(ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, কারা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জেলা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা জেলা নির্বাচন অফিসার আহমদ আলী আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এর আগে অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ওসির মাধ্যমে তাদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। গত রাতের ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন
এসএস
মন্তব্য করুন