দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা, বাড়িতে শোকের মাতম
জহিরুল ইসলাম হাওলাদার নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে শনিবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরের ক্রাই ফনটেইন এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে।
জহিরুলের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহত ব্যবসায়ীর বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে। সে কেপটাউন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
জহিরুল দীর্ঘ এক যুগ ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছেন। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে সে সর্বশেষ বাড়ি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায়। কেপটাউন শহরের ক্রাই ফনটেইন এলাকায় তার সুপার সপের দোকান ছিল।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত জহিরুলের বাসার পাশের বাসায় মদ খাওয়া, নাচ-গানসহ নানারকম অসামাজিক কার্যক্রম হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর পূর্বেও এ ধরনের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেশির সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল।
নিহতের মরদেহ কেপটাউন শহরের একটি হিমাগারে রয়েছে। নিহত জহিরুল ইসলাম হাওলাদারের স্ত্রী নাছিমা স্বামীর শোকে কাতর। স্বামীর স্মৃতিচারণ করে সে কান্নায় ভেঙে পড়েন। একমাত্র মেয়ে অর্পা ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। বাবার মৃত্যুতে সে নির্বাক। অর্পা বারবার বলেন, আমার বাবা...আমার বাবা। আমার বাবাকে তোমরা ফিরিয়ে দাও। আমি কাকে বাবা বলে ডাকবো। কে আমাকে মা বলে ডাকবে। আমার বাবা আর কোনোদিন আমাকে ফোন করবে না, আমার খবর নিবে না।
এদিকে জহিরুলের খুনের সংবাদ পেয়ে শত শত লোকজন বাসায় এসে ভিড় জমায়। আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশি কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। সকলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। মা জয়গুন নেছা ছেলের শোকে বার বার মূর্ছা যান।
নিহত জহিরুল ইসলাম হাওলাদারের স্ত্রী নাছিমা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দাও আল্লাহ। আমার মতো কেউ যেন আর স্বজন হারা না হয়।
আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ শিগগিরই দেশে আনা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
পি
মন্তব্য করুন