• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শেষ শয্যায় শায়িত পলান সরকার

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

  ০২ মার্চ ২০১৯, ১৪:২৬

স্ত্রী রাহেলা বিবির কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আলোর ফেরিওয়ালা পলান সরকার। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

এর আগে সকালে নিজের প্রতিষ্ঠিত রাজশাহীর বাঘার বাউসা হারুন অর রসিদ শাহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় ইমামতি করেন বাঘার বাউসা পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মোহাম্মদ আবুল বাশার। পরে নিজ হাতে গড়া পাঠাগারের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

পলান সরকারের জানাজায় অংশ নেন-রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন রেজা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাবা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, সরের হাট এতিমখানার পরিচালক সাদা মনের মানুষ শামসুদ্দিন সরকার, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাবলু, বাঘা পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক মেয়র আক্কাস আলী, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, বাঘার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।

গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামের নিজ বাসভবনে ৯৮ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পলান সরকার।

পলান সরকার নিজের টাকায় বই কিনে পাঠকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে বই পড়ার একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এজন্য পলান সরকার ২০১১ সালে একুশে পদক পান। সারাদেশে তাকে বহু সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। তাকে নিয়ে ‘সায়াহ্নে সূর্যোদয়’ নামে একটি নাটক তৈরি হয়েছে।

পলান সরকারের জন্ম ১৯২১ সালে। তার আসল নাম হারেজ উদ্দিন। তবে পলান সরকার নামেই তাকে চেনে দশগ্রামের মানুষ। জন্মের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় তার বাবা মারা যান। টাকাপয়সার টানাটানির কারণে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময়ই লেখাপড়ায় ইতি টানতে হয় তাকে। তবে নিজের চেষ্টাতেই চালিয়ে যান পড়ালেখা। স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ছিলেন পলান সরকার। তিনি ছিলেন বই পাগল মানুষ। প্রতিবছর স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা ১ থেকে ১০-এর মধ্যে মেধা তালিকায় স্থান পাবে, তাদের তিনি একটি করে বই উপহার দিতেন। এখান থেকেই শুরু হয় তার বই বিলির অভিযান। এরপরে তিনি সবাইকে বই দিতেন। ডাক্তারি পরীক্ষায় ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর নিজেই হেঁটে হেঁটে বই বিলি করতেন। একটানা ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে করেছেন এই কাজ।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আসনবিন্যাস প্রকাশ
বিএসএফের নরহত্যার দায় সরকারের ওপরেও বর্তায়: রিজভী
অভিনেতা রুমির মৃত্যুতে ফেসবুক যেন শোক বই
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফলে ত্রুটি, সংশোধিত ফল রাতেই
X
Fresh