শিশুর কাঁধে বইয়ের বোঝা কমাতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শিশুর চেয়ে স্কুলের ব্যাগের ওজন বেশি। শিশুর কাঁধে বইখাতার বোঝা কমাতে হবে। কেজি স্কুলে চার বছর লাগে ক্লাস ওয়ানে উঠতে। পৃথিবীর কোথাও এ সিস্টেম নেই। এ সিস্টেমের অবসান হওয়া প্রয়োজন।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের ‘শিশুর অধিকার: প্রেক্ষিত হালের বাংলাদেশ’শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপে কোন বয়সে কোন ক্লাসে পড়বে সেটি নির্ধারিত থাকে। আমাদেরও তা করা উচিত। শহরে শিশুরা কার্টুন দেখে খাবার খাচ্ছে। মা-বাবা টেবিলে খাচ্ছে। আমি মনে করি একসঙ্গে খাওয়া উচিত। আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে সমাজকে বের করে আনতে হবে। এখন শিশুরা আইফোনে খেলে, নয়তো কার্টুন দেখে।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের উদ্বুদ্ধ করা যায় কিন্তু বাধ্য করা ঠিক নয়। শিশুশ্রম বড় সমস্যা। গৃহকাজে, শিল্পকারখানায় শিশুশ্রম দেশের আইনে সমীচীন নয়। তাদের প্রতি ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। একই সঙ্গে শিশুদের মনন তৈরিতে গুরুত্বারোপ করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যে স্বপ্নের বাংলাদেশ রচনা করতে চাই, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন তা পূরণে মেধাবী, বুদ্ধিদীপ্ত, মূল্যবোধ ও দেশাত্মবোধে জাগ্রত প্রজন্ম চাই। নয়তো উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়।
কাউন্সিলের সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নূর-ই-আকবর চৌধুরী।
চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমার সঞ্চালনায় আলোচনা করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, জাতিসংঘ শিশু তহবিলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা মাধুরী ব্যানার্জি, কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল উদ্দিন আল আজাদ, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য, শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া বেলা, কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী সদস্য রেহানা চৌধুরী প্রমুখ।
পি
মন্তব্য করুন