পদ্মায় মিঠা পানির কুমির উদ্ধার
পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের দড়ি ভাউডাঙ্গা গ্রামের পদ্মা নদী থেকে একটি মিঠা পানির কুমির উদ্ধার করা হয়েছে।
রাজশাহী বন বিভাগের কর্মীরা কুমিরটি নিয়ে গেছে। ঢাকায় নিয়ে এটিকে সংরক্ষণ করা হবে। গেল মঙ্গলবার বিকেলে পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে কুমিরটি ধরা পড়ে।
ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ খান বলেন, গেল কয়েকদিন ধরে দড়ি ভাউডাঙ্গা গ্রামের পদ্মা নদীর কোলে একটি বড় আকারের কুমির দেখতে পায় গ্রামবাসী। গেল মঙ্গলবার আমরা স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কুমিরটিকে ধরার উদ্যোগ নেই। সারাদিন চেষ্টার পর বিকেলে কুমিরটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। উদ্ধার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেলা প্রশাসন ও বনবিভাগকে এ বিষয়ে জানানো হয়। রাতে রাজশাহী থেকে বনবিভাগের কর্মকর্তারা এসে কুমিরটিকে নিয়ে যায়।
পাবনা জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা বন বিভাগের মাধ্যমে কুমিরটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই। উদ্ধার হওয়া কুমিরটির পরিচর্যা করছেন বন বিভাগের কর্মীরা। এটি বিলুপ্ত প্রজাতির কুমির। ঢাকায় নিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
পাবনা বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ আন্দোলনের আহ্বায়ক এহসান বিশ্বাস লিঠু জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসছে।
বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক জাহাঙ্গীর কবির জানান, সামাজিক বনবিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা কুমিরটি উদ্ধার করেছি। কুমিরটি প্রায় সাত ফুট লম্বা। এটি স্বাদু পানির বিলুপ্ত প্রজাতির কুমির। বর্তমানে বাংলাদেশে এ প্রজাতির কুমির সচরাচর চোখে পড়ে না।
জেবি
মন্তব্য করুন