• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মাজারের দান বাক্সের টাকা গুণতে দুইদিন

বগুড়া অফিস

  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৩৩

মেঝের ওপর টাকা-পয়সার স্তুপ। দশ টাকার নোটই বেশি। তবে পাঁচ থেকে হাজার টাকার নোটও কম নয়। স্তুপের মধ্য থেকে এসব নোট বাছাই করছে স্কুলপড়ুয়া ১৪ বছরের এক শিক্ষার্থী। টাকার মাঝে দাঁড়ানো এক ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের বাছাই করা সেই নোটগুলো গণনার জন্য দিচ্ছেন পাশেই টেবিল পেতে বসা স্থানীয় ব্যাংকের কর্মচারীদের হাতে। তারা সেগুলো গুণে গুণে বান্ডিল তৈরি করছেন। এটি বগুড়ার মহাস্থান মাজার কমিটির অফিসের ভেতরের দৃশ্য।

হযরত শাহ্ সুলতান মাহমুদ বলখী (রহ.) মাজারের চারদিকে সিন্দুকগুলোতে জমা হওয়া টাকা গণনা শুরু হয়েছে রোববার সকাল থেকে।

মাজার কমিটির কর্মকর্তারা জানান, রোববার সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই গণনা সোমবার বিকেল নাগাদ শেষ হতে পারে। মাজারের চারদিকে যে ৯টি সিন্দুক রয়েছে তার মধ্যে রোববার ৬টি খোলা হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ ওই ৬টি সিন্দুকের টাকা-পয়সা গণনা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি তিনটি সিন্দুকের মধ্যে ১টি নষ্ট। অন্য দু’টি সোমবার সকালে খোলা হবে।

ইতিহাসের বর্ণনা অনুযায়ী শাহ্ সুলতান মাহমুদ মধ্য এশিয়ার বল্লখ রাজ্যের সম্রাট ছিলেন। ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য তিনি রাজত্ব ছেড়ে প্রায় ৭০০ বছর আগে পুণ্ড্রবর্ধনের রাজধানী পুণ্ড্রনগর তথা আজকের বগুড়ার মহাস্থানে আসেন। মহাস্থানগড়ে পৌঁছে তিনি ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন। প্রথমে পুণ্ড্রবর্ধনের তৎকালীন রাজা পরশুরামের সেনাপ্রধান, মন্ত্রী এবং কিছু সাধারণ মানুষ ইসলামের বার্তা গ্রহণ করে মুসলিম হন।