শিক্ষা সফরের বাসে হামলা, চোখ হারানোর আশঙ্কা শিক্ষার্থীর
ভোলার চরফ্যাশনে মাইক্রোবাসের চাপায় এক শিশু নিহতের ঘটনার জের ধরে শিক্ষা সফরে যাওয়া ভোলা সরকারি কলেজের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জখম জান্নাতুল ফেরদৌস মিশুর চোখের দৃষ্টি ফিরে পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।
তার উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন বরিশাল শেবাচিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেরর বিশেষজ্ঞরা। এদিকে এ হামলার বিচার দাবি করে জেলা শহরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার চরফ্যাশন থেকে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ের অনুষ্ঠানে কোনও প্রতিযোগী অংশ নিতে আসতে পারেনি।
মঙ্গলবার ভোলার দক্ষিণ আইচায় বাসে করে শিক্ষা সফরে যাচ্ছিল ভোলা সরকারি কলেজের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর আগে মাইক্রোবাসের চাপায় নিহত হয় এক শিক্ষার্থী। এর জের ধরেই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জামাল মেম্বারের নির্দেশে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা হামলা চালায় শিক্ষাসফরের ওই বাসে। হামলাকারীরা বাস ভাংচুরের পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা করে। তাদের মারধর করে। এক ঘন্টা পর পুলিশ বাসটিকে উদ্ধার করে দক্ষিণ আইচা থানায় নিয়ে আসে।
হামলার সময় জান্নাতুল ফেরদৌস মিশুর বাম চোখে কাচের টুকরো ঢুকে মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, গুরুতর জখম হয়েছে মিশুর বাম চোখ।
দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম তালুকদার জানান, ইউপি মেম্বার জামাল উদ্দিনের চার বছরের ছেলে একটি মাইক্রোবাসের চাপায় মারা যায়। ওই রাস্তা দিয়ে ভোলা কলেজের শিক্ষা সফরের বাসটি যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ওই হামলা চালায়। এদিকে, ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকী এবং পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন
জেবি
মন্তব্য করুন