নারায়ণগঞ্জে গুলিতে পথচারী নিহত, ওসি প্রত্যাহার
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-এলাকাবাসী সংঘর্ষে গুলিতে আশিক নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি পোশাক কারখানা শ্রমিক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বন্দর থানার ওসি আযহারুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ আরটিভি অনলাইনকে ওসি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছে ১৫ জন ও ভাংচুর করা হয়েছে পুলিশের দুটি গাড়ি। পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শনিবার রাত পৌনে ৭টার দিকে পুলিশের একটি দল উপজেলার মদনপুরের চাঁদপুর এলাকায় আসামি ধরতে যায়। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান সমর্থক মামলার আসামি দিপু ও সুজনকে আটক করে পুলিশ। এসময় দিপু ও এলাকার লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে টেঁটা, বল্লম ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষে পুলিশের এসআই মোহাম্মদ আলীসহ ৪ পুলিশসহ ১৫ জন আহত হন। এসময় বাবুল ও পথচারী পোশাক কারখানা শ্রমিক আশিক গুলিবিদ্ধ হন। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে আশিকের মৃত্যু হয়। অপর আহত বাবুলকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, পুলিশ আসামি ধরতে গেলে হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের শিকার হয়, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় আশিক নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশের এস আই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ ও ২ থেকে ৩ শ’ জন অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনা অনুসন্ধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মামুন আব্দুল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
এমসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন