• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

লাখো মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে একটি সেতু

এম, মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী

  ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২০

রাজবাড়ী শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে বানিবহ ইউনিয়নের বারেক গ্রাম। এই গ্রামটি সদর উপজেলার মধ্যেই অবস্থিত। বানিবহ গ্রামের পাশেই বালিয়াকান্দি উপজেলার সংযোগস্থল। কিন্তু দুটি উপজেলাকে যুগের পর যুগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে মাত্র ৪৫ মিটারের হরাই নদী। আর এই নদীটির উপর একটি সেতু নির্মিত হলে দুই উপজেলার মানুষের যাতায়াতের যেমন সুবিধা হতো, ঠিক তেমনি হাসি ফুটতো হাজারও কৃষকের মুখে। আশপাশের জেলার সঙ্গে দূরত্বও কমে আসতো অনেক। সেইসঙ্গে এই বিশাল অঞ্চলের কৃষিজাত পণ্য ও উৎপাদিত মাছ সঠিক মূল্যে বিক্রি করতে পারতেন কৃষক। এতে করে এই এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়নও হতো।

এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুর জন্য এলাকাবাসী দিনের পর দিন দাবি জানিয়ে এলেও স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও তাদের সে দাবি পূরণ হয়নি।

বারেক গ্রামের কৃষক পরিমল মণ্ডল জানান, এই গ্রাম থেকে পার্শ্ববর্তী বহরপুর বাজারের দূরত্ব মাত্র চার কিলোমিটার। কিন্তু নদীটির ওপর সেতু না থাকার কারণে এই এলাকার মানুষকে ১০ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরতে হয়। একইভাবে জামালপুর বাজারে যেতে ২৩ কিলোমিটার ও রাজবাড়ী সদরে যেতে ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এরমধ্যে অর্ধেকের বেশি পথই ঘুরতে হয় সেতুটি না থাকার কারণে। ফলে উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে অনেক খরচ হয়। লোকসান গুণতে হয় বছরের পর বছর ধরে। সেতুটি হয়ে গেলে কৃষিপ্রধান এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ দূর হবে। হাসি ফুটবে প্রতিটি কৃষকের মুখে।

বালিয়াকান্দি উপজেলার পাকালিয়া গ্রামের ভ্যানচালক কহিল শেখ জানান, বারেক গ্রাম থেকে বহরপুর বাজার চার কিলোমিটার, জামালপুর বাজার আট কিলোমিটার, বানিবহ বাজার চার কিলোমিটার ও মূলঘর ইউনিয়নের কুটিরহাট বাজার মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। অথচ আমরা এ অঞ্চলের মানুষ এই একটি সেতুর কারণে বানিবহ বাজার ও কুটিরহাটে যেতে পারি না। আর গেলেও আট থেকে ১০ কিলোমিটার পথ বেশি পাড়ি দিতে হয়। আমাদের প্রাণের দাবি এই সেতুটি নির্মাণ করে সরকার আমাদের দুর্ভোগ দূর করবে।

বাসের সহকারী ছিদ্দিকুর রহমান জানান, রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার দূরত্ব বর্তমানে ৩৮ কিলোমিটার। কিন্তু হরাই নদী উপর সেতু নির্মাণ হলে ১৩ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। রাজবাড়ী থেকে মধুখালী যাওয়ার মতো উপযোগী রাস্তা থাকলেও এই সেতুটির কারণে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মোস্তফা বাচ্চু আরটিভি অনলাইনকে বলেন, চারটি ইউনিয়নের মিলনস্থল বারেক গ্রাম এলাকা। এই অঞ্চল প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত। হাজার হাজার একর আবাদি-অনাবাদী জমি রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এখানে লাখ লাখ অতিথি পাখি আসে। এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেকেই সপরিবারে বেড়াতে আসেন। সেতুটি নির্মাণ হলে আরও দর্শনার্থী আসতে পারবে। আমরা এরই মধ্যে সেতুটি নির্মাণের ব্যাপারে সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন অচিরেই এ সেতুটি নির্মাণ করা হবে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী স্বপন কুমার গুহ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য এরমইমধ্যে সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এটাকে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) যুক্ত করেছি। খুব দ্রুতই এই সেতুর কাজ শুরু হবে।

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ 
ছুটির ৫ দিনে পদ্মা সেতুতে যত টাকার টোল আদায়
উন্নয়ন করেছি বলেই সেনবাগবাসী আমাকে নির্বাচিত করেছে : মোরশেদ আলম
রাজবাড়ীতে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বাড়িতে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৪
X
Fresh