সরিষা ক্ষেতে মধুর চাষে কৃষকের বাড়তি লাভ
একদিকে ফলন বৃদ্ধি, অন্যদিকে বাড়তি লাভ মধু। আর রবিশস্য সরিষার সঙ্গে মৌমাছি পালন করে মধু চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাবনার চলনবিলসহ আশপাশের এলাকায়।
কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় এসব মধুর খামার গড়ে উঠেছে। তবে মধু চাষিরা আরও বেশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চান।
পাবনার চাটমোহরের চলনবিল, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলায় সরিষা ক্ষেতে মৌবাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এই অঞ্চলের কৃষক। এবার ৫৮ টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা আড়াই কোটিরও বেশি টাকায় বিক্রি হবে।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর জেলায় ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে মৌবাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। গত বছর ৬৫ টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে মধু সংগ্রহ হয়েছিল ৭২ টন। এ বছর ৫৮ টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ডিসেম্বর মাসেই মধু সংগ্রহ হয়েছে ৫১ টন। সেই হিসেবে এ বছরও মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মধুর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাটমোহরের চলনবিল, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলায় একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
এজন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সরিষা চাষিদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বিতরণ করা হয়েছে মৌবাক্স ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি।
চলনবিল অঞ্চলের কৃষক মিজান খাঁ, আশরাফ কানা, সাদেক খাঁ, ছাত্তার খাঁ জানান, সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এতে করে তারা লাভবান হচ্ছেন। বাজারে প্রতি কেজি মধু ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান রশিদ হোসাইন আরটিভি অনলাইনকে জানান, কৃষিবিভাগ তুরস্ক থেকে উন্নতমানের মৌবাক্স আমদানি করে বিনামূল্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করছেন।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আজাহার আলী আরটিভি অনলাইনকে জানান, পাবনায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর সরিষা ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এতে করে এ অঞ্চলের কৃষক দ্বিমুখী লাভবান হচ্ছেন। দিনদিন সরিষা ক্ষেতে মধু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
আরো পড়ুন:
জেবি
মন্তব্য করুন