• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দুর্ভোগের আরেক নাম শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক

মো. আবুল হোসেন সরদার, শরীয়তপুর

  ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:০৬

সময় বাড়ানোর পরেও শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হয়নি। কাজের ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। অজুহাত হিসেবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক বলছেন ঈদ ও নির্বাচনের জন্য শ্রমিক সংকটের কারণে কাজের অগ্রগতি কম হয়েছে। তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চাপ দেয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সংস্কার কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।

জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের শরীয়তপুর সদর উপজেলার মনোহর বাজার থেকে সখিপুর থানার নরসিংহপুর (আলুরবাজার) ফেরিঘাট পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে।

এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। পুরো রাস্তা জুড়েই খানাখন্দকে ভরা। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে এই রাস্তাটি দিয়ে গেল বছরের এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী যান চলাচল বন্ধ ছিল। এখন শীত মৌসুমে রাস্তায় কাদা না থাকায় পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল শুরু করেছে। এই রাস্তা দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার পণ্যবাহী ও যাত্রিবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। যে কারণে রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে এই রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। এরমধ্যে মনোহর বাজার থেকে নারায়ণপুর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার কাজের জন্য ২৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ কাজে ত্রিপুরা জেভি ও র‌্যাব আরসি এবং মাদারীপুরের মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠাকে গেল বছরের ১৮ মার্চ কার্যাদেশ দেয়া হয়।

একই সময়ে নারায়ণপুর থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার কাজের জন্য একজন ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু সেই ঠিকাদার কাজ করতে আগ্রহী হয়নি। ফলে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাওয়ার পর একই বছরের আগস্ট মাসে কার্যাদেশ দেয়া হয়। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। ছয় মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সময় বেধে দেয়া হয়। সময় অনুযায়ী গেল ১৮ সেপ্টেম্বর সময় শেষ হয়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি। এসময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দুই মাস ১০ দিন সময় বাড়িয়ে দেয়। বাড়তি সময় অনুযায়ী গেল পাঁচ ডিসেম্বর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজের ধীরগতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার সাজানপুর থেকে নারায়ণপুর পর্যন্ত যে অংশে কাজ চলছে তার মাত্র ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ চলছে। নারায়ণপুর থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। ওই সড়কের খানাখন্দগুলো শুধু ভরাট করা হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল করলে আশপাশের এলাকা ধুলায় অন্ধকার হয়ে যায়। এতে যাত্রীসহ আশপাশের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

এ ব্যাপারে নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক আরটিভি অনলাইনকে বলেন, শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের কাজের খুবই ধীরগতি। অনেক আগেই সময় পার হয়ে গেছে। এরপরও সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারপরেও কাজ শেষ হয়নি। কাজের মানও ভাল নয়।

খুলনা থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রাক চালক আলী আহম্মদ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এ রাস্তাটি বেহাল। এ রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করা খুবই কষ্টকর।

এ ব্যাপারে সরদার এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক সিরাজ সরদার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, দুটি ঈদ ও নির্বাচনের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়নি। এ কারণে কাজের অগ্রগতি ছিল কম।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রমজান আলী বলেন, নির্বাচনের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। যে কারণে কাজের অগ্রগতি কম ছিল। এখন পুরোদমে কাজ চলছে। চলতি মাসের মধ্যেই মনোহরবাজার-নারায়ণপুর সীমানার কাজ শেষ হবে। বাকি কাজ মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি।

আরো পড়ুন:

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল হাতির মরদেহ
সোনাইমুড়িতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, খনন কাজ শুরু
গরমে বিচারকাজ অনলাইনে করতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি
এসি ছাড়াই যে কাজে ঘরের তাপমাত্রা কমবে ৫ ডিগ্রি
X
Fresh