ক্যানভাসে আঁকা হলো ভাওয়াল ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ
কালের গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া ভাওয়াল রাজার আধিপত্য ও ১৯ মার্চের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামের দৃশ্যপট শিল্পকর্মের ক্যানভাসে স্থান দেয়া হয়েছে গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে।
গাজীপুর শহরের রাজবাড়ীর (বর্তমানে গাজীপুর জর্জ কোর্ট) প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করা মাত্রই যে কারো চোখে পড়বে ‘ভাওয়াল ঐতিহ্য প্রাঙ্গণ’ নামে এই শিল্পকর্ম।
দুই ভাগে বিভক্ত ২০ ফুট দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ও সাত ফুট উচ্চতার রিলিফ শিল্পকর্মটির ভাস্কর কুয়াশা বিন্দু। সম্প্রতি গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর শিল্পকর্মের উদ্বোধন করেন। এই শিল্পকর্ম দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এসে ভিড় করছেন।
শিল্পকর্মের এক অংশে বিশাল রাজবাড়ীর সামনে শিকার করে আনা মৃত বাঘের উপর বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে ভাওয়াল পরগনা অধিপতি ও পাশেই তার হাতি।
অন্যদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরের বীর সন্তান তাজউদ্দীন আহমদের প্রতিকৃতি। সশস্ত্র প্রতিরোধের ময়দানে লাঠি, কাঁচি আর বল্লম হাতে দাঁড়িয়ে আছেন বীর যোদ্ধারা।
ভাওয়াল পরগনার হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের সেই রণাঙ্গনের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য যেন ক্যানভাসে ফুটে আছে ইতিহাসের দর্পণ হয়ে।
অপর অংশের ক্যানভাসে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরের বীর সন্তান বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের ভাস্কর্য রয়েছে। ক্যানভাসের দিকে তাকালেই মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মনে করিয়ে দেবে দর্শনার্থীদের।
এছাড়াও ভাওয়াল পরগনায় গাজী বংশীয় শাসকদের আগমন ও ভাওয়াল রাজার শাসনকাল নিয়ে সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের একটি ফলক রয়েছে।
ভাস্কর কুয়াশা বিন্দু আরটিভি অনলাইনকে বলেন, জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের পরিকল্পনায় প্রায় চার মাস কাজ করে ভাস্কর্যটি তৈরি করেছি। এর মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যাবে গাজীপুরের ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। বিশেষ করে ভাওয়াল পরগনার ইতিহাস।
আরো পড়ুন:
জেবি
মন্তব্য করুন