• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সক্রিয় মানব পাচারকারী চক্র, মালয়েশিয়া পাচারকালে ১৫ রোহিঙ্গা আটক

টেকনাফ প্রতিনিধি

  ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৫২

কক্সবাজারের টেকনাফের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের প্রস্তুতিকালে ১৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী রয়েছে।

সোমবার ভোরে টেকনাফের বাহারছরা ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম এসব রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন, উখিয়া উপজেলার বালুখালী ক্যাম্পের হাফিজুর রহমান, কেফায়েত উল্লাহ, মো. সোহেল, মো. আলম, সেতেরা বেগম, নুর কলিমা, কুতুপালং ক্যাম্পের ইমাম হোসেন, আনোয়ারা বেগম, থাইংখালী ক্যাম্পের শাহ নবী, জাহেদা বেগম, রেহেনা বেগম, মো. সালাম, উখিয়ার জামতলী ক্যাম্পের পারভীন আকতার ও রাবেয়া বেগম।

পুলিশ সূত্র জানায়, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সক্রিয় রয়েছে মালয়েশিয়া পাচারকারী স্থানীয় ও রোহিঙ্গা দালাল চক্র। এসব দালাল চক্রের সদস্যদের খপ্পরে পড়ে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে ট্রলারে মালয়েশিয়া রওনা দিতে বাহারছরা ইউনিয়নের শামলাপুরে অবস্থান নিয়েছিল রোহিঙ্গাদের একাধিক দল। বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে দালাল চক্রের সদস্যদের ধরতে এবং মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এসময় মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন সাগর তীরবর্তী শামলাপুর এলাকা থেকে ১৫ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তবে এ অভিযানে দালাল চক্রের কোনও সদস্যকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

টেকনাফ বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, আটক রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়া যেতে শামলাপুর এলাকায় জমায়েত হয়েছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দালালদের মাধ্যমে সাগর পথে মালয়েশিয়া যেতে এখানে আসে বলে জানায়। আটককৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, আটক মালয়েশিয়াগামী ১৫ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত ছিল। যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, আটক রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে পাচারকারী চক্রের সদস্যদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোনও রোহিঙ্গা বা স্থানীয় নাগরিক যাতে দালালদের মাধ্যমে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

উল্লেখ্য, গতবছরে ৫ নভেম্বর টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ ঘোলার চর থেকে বিজিবি ১৪ রোহিঙ্গা, ৬ নভেম্বর সেন্টমার্টিন সাগর উপকূল থেকে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৬ জন দালালসহ ৩৩ রোহিঙ্গা এবং ৩০ নভেম্বর টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকা থেকে র‌্যাব ১০ রোহিঙ্গা নাগরিককে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাবার প্রস্তুতিকালে উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃতদের সবাইকে যাচাই শেষে স্ব স্ব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা: এফএসআইএন
মেলায় জাদু খেলার নামে অশ্লীল নৃত্য, আটক ৫  
জয়পুরহাটে ১৬ স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারি আটক
রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা চান হাইকোর্ট
X
Fresh