আশুলিয়ায় দলবেঁধে ধর্ষণ: পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু, আটক ১
ঢাকার আশুলিয়ায় কথিত প্রেমিকের যোগসাজশে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত তরুণী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আশুলিয়া থানার ওসি রেজাউল হক দিপু বিষয়টি আরটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করে বলেন, আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মাহফুজা আক্তার নাজমা নামে (১৮) একজন নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, নিহতের বাবা আবু হানিফ মৌখিকভাবে আমাদের জানিয়েছে। নাজমা অপমান ও ক্ষোভে রাতে বিষপান করে। পরে তাকে নরসিংহপুর এলাকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আব্দুর রহিম (২৪) নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আব্দুর রহিম সাথিয়া উপজেলার পিকুলিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি পাশাপাশি ভাড়া বাড়িতে থেকে একই পোশাক কারখানার আয়রনম্যান হিসেবে কাজ করেন। ময়নাতদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের পর মৃত্যুর কারণ পরিপূর্ণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, গত পাঁচ জানুয়ারি জামগড়া এলাকার ইয়াগি গার্মেন্টস নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিল নাজমা। এ সময় একই গার্মেন্টসের শ্রমিক রহিম নাজমাকে পাশের একটি খালি জায়গায় নিয়ে একই কারখানার লাইন চিফ রিপন ও ক্যানটিন মালিক শিপনসহ চারজন মিলে ধর্ষণ করে। পরে তারা মধ্যরাতে বাসার সামনে রেখে যায়। এ ঘটনায় পরেরদিন রোববার থানায় নাজমা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরেরদিন রোববার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে নাজমাকে নরসিংহপুরের নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এমসি/পি
মন্তব্য করুন