তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ
তীব্র শীতে কাঁপছে দেশের উত্তরের জনপদ। পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষ।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় আজকের তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জনজীবন অনেকটা থমকে গেছে।
মৌলভীবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীতে জবুথবু জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রামে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। হিলিতে ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের।
গাইবান্ধায় ভোর থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে তাপমাত্রা নেমে আসায় খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বেড়েছে। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী বেষ্টিত চরের মানুষগুলোর দুর্ভোগ বেড়েছে।
গেল কয়েকদিনের মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পর মেহেরপুর অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সকালে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। নওগাঁতে দিনে শীত কম থাকলেও রাতে বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে কক্সবাজার জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া, ডিমলা, রাজারহাট, রাজশাহী, পাবনা, বাদলগাছি, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, শ্রীমঙ্গল, সীতাকুণ্ড, ময়মনসিংহ, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর অঞ্চলর সমূহের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরো পড়ুন:
এসএস
মন্তব্য করুন