উত্তরাঞ্চলে শীতে কাঁপছে নিম্ন আয়ের মানুষ
কুড়িগ্রামে গত কয়েকদিন যাবত শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধ্যার পর থেকে শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকে। সকাল ১০টা পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। শীতবস্ত্রের অভাবে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের জন্য চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে চরাঞ্চলের লোকজন ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহষ্পতিবার সকালে রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সাত দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রামের হলোখানা ইউনিয়নের কাচিচরের ছকিমন বেওয়া, মোগলবাসা ইউনিয়নের আলেয়া বেগম, আবিয়া খাতুন, কুড়িগ্রাম পৌরসভার চর-হরিকেশের কাদের আলী জানান, কয়েকদিন থাকি খুব শীত। ঠাণ্ডায় হামাগো হাত পাও শিক নাগি যায়। শীতে খুব কষ্ট হইছে হামাগো।
এদিকে রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের আকলিমা বেওয়া আরটিভি অনলাইনকে জানান, এই ঠাণ্ডাত হামার গাত দেয়ার মতো কিছুই নাই। গাছের পাতা দিয়া আগুন জ্বালে তাপাই। এমন করি হাত পাও গরম করি। এই শীতে কোলের ছাওয়া ও বাড়ির বুড়া মানুষগুলার খুব কষ্ট হইছে। হামার জন্যে কম্বলের ব্যবস্থা করেন।
মোগলবাসা ইউনিয়নের বর্গা চাষি ছামছুল জানান, শৈত্য প্রবাহের কারণে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ বিলম্বিত হচ্ছে। অন্যদিকে শীতের কারণে গবাদি পশুরাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে স্বল্প দামে পুরাতন কাপড়ের দোকানে বেচা-কেনা বেড়েছে। কোর্টচত্বর, শহীদ মিনার ও নছর উদ্দিন মার্কেটে পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আনোয়ারুল ইসলাম প্রামাণিক জানান, শীতজনিত কারণে বাচ্চাদের সর্দি, ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বেড়েছে। আমরা এই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত কেউ শীতজনিত রোগে মারা যাননি।
জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, আমরা এ পর্যন্ত জেলার নয়টি উপজেলায় প্রায় ৮০ হাজার কম্বল বিতরণ করেছি। আরও কম্বল ও অন্যান্য শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। আশা করছি এবার শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ কষ্ট পাবে না।
আরও পড়ুন :
- পুলিশের ওপর হামলায় ৭৫ যুবলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
- নোয়াখালীর সেই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষায় গণধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে
জেবি
মন্তব্য করুন