হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা কলঙ্কজনক: র্যাব মহাপরিচালক
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, এ দেশটা সবার। ১৯৭১ সালে সব সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে এ দেশটাকে রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে। দেশটাকে আমরা সামনে নিয়ে যাচ্ছি এ সরকারের নেতৃত্বে, সেটাও কিন্তু সবাই মিলেমিশে করে যাচ্ছি।কিন্তু ভোটের মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা জাতির জন্য কলঙ্কজনক।
শুক্রবার বেলা ১২টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর সিঙ্গীয়া গ্রামে আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারের কাছে নতুন বাড়ির চাবি হস্তান্তরের পর সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভোটের ডামাডোলের মধ্যে গত ২১ ডিসেম্বর কৃষ্ণ ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়া হলে আটটি ঘর, ৬০ মণ ধান ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়, মৃত্যু হয় সাতটি ছাগলের।
ওই ঘটনায় জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান লিটনসহ দশ জনের নামে সদর থানায় মামলা করেন কৃষ্ণ ঘোষ।
বেনজীর বলেন, নির্বাচন এলেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যারা হামলা করে, তারা জাতির জন্য কলঙ্ক।
এ ধরনের হামলার জন্য যারা দায়ী, তাদের খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি করার জন্য সবার সহযোগিতা চান র্যাব প্রধান।
বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ঘর পুননির্মাণ করে দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগে যে বাড়িঘর ছিল, ‘তার চেয়েও ভালো’ বাড়িঘর তারা করে দিয়েছেন।
ধর্মীয় ‘সংখ্যালঘু’ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকার ও রাষ্ট্র রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা যেন এ দেশে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বসবাস করতে পারে; ক্রিমিনাল যারা, তারা অপরাধ করতে পারে; কিন্তু এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থার সংকট যেন তৈরি না হয়, কারও মধ্যে কোনও ভীতির পরিবেশ যেন তৈরি না হয়, সেটাই মূলত আমরা চেয়েছি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিংগিয়া সাহাপাড়া গ্রামের একটি হিন্দু বাড়িতে শুক্রবার ভোরে আগুন দেয়া হয়। আগুনে ওই বাড়ির আটটি ঘর, ৬০ মণ ধান ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়, মৃত্যু হয় সাতটি ছাগলের।
বেনজীর বলেন, কৃষ্ণ ঘোষের বাড়িতে আগুন দেয়ার ওই ঘটনার পর এলাকায় র্যাবের একটি ক্যাম্প করা হয়েছে। সারাদেশে ধর্মীয় সংঘ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য র্যাব সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি ৩০ ডিসেম্বর দেশের মানুষ যাতে ‘শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে’ ভোট দিতে পারে, সেজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জেবি/পি
মন্তব্য করুন