• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সংসারের হাল ধরতে চায় প্রতিবন্ধীরাও

মো. আল আমিন টিটু, ভৈরব

  ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:৩৬

দেশ, সমাজ কিংবা পরিবারের বোঝা হিসেবে নয়, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোররা। সমাজের অন্য দশজনের মতো সেও হাল ধরতে চায় সংসারের। তাই সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ নিশ্চিত করাসহ খেলাধুলার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির দাবি প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, পরিবারের অসচেতনতা ও অজ্ঞতার কারণে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে প্রতিবন্ধী হিসেবে রূপ নেয়। এছাড়াও শিশুদেরকে সঠিক সময়ে পোলিও টিকা না দেয়া এবং খাদ্যে পুষ্টির অভাবে শিশুরা প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। তাই গর্ভবতী মাকে শিশু লালন-পালনে অধিক সচেতনতার কোনও বিকল্প নেই মনে করেন চিকিৎসকরা।

দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কিশোরগঞ্জ। এ জেলার মোট প্রতিবন্ধীর সংখ্যা প্রায় অর্ধ-লক্ষাধিক। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধী রয়েছে জেলার বাজিতপুরে। কোনও কোনও পরিবারের সবাই প্রতিবন্ধী।

আবার কোনও পরিবারের তিনজন কিংবা চারজন প্রতিবন্ধী রয়েছে। ফলে এ উপজেলায় সর্বমোট প্রতিবন্ধী রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো। তাদের মধ্যে সরকারিভাবে শিক্ষা বৃত্তির আওতায় রয়েছে মাত্র একশ’ ২১ জন। ভাতার আওতায় রয়েছে এক হাজার ৮শ’ জন। ফলে অর্ধেকের বেশি প্রতিবন্ধী সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এসব সুবিধা বঞ্চিত প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়াতে ২০১৫ সালে মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উপজেলার গোথালিয়া গ্রামে মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী পাঠশালা নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন মাহবুব রহমান। বর্তমানে স্কুলটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজার ১৫ জন। সপ্তাহে তিনদিন ১৫ জন শিক্ষক স্বেচ্ছাশ্রম বা বিনা বেতনে পাঠদান করছেন। এরই মধ্যে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী পাঠশালাটি আজও রয়েছে সরকারি এমপিওভুক্তির বাইরে।

এদিকে সুবিধাবঞ্চিত প্রতিবন্ধীদের অচিরেই সরকারের নানা সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হবে। নিশ্চিত করা হবে শতভাগ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা। এমনটাই প্রত্যাশা সমাজের অসহায় প্রতিবন্ধীদের।

জানতে চাইলে বাজিতপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বাবুল মিয়া বলেন, মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী পাঠশালাটি ১১৫ জন প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের থেরাপি ও পড়াশুনার ব্যবস্থা করেছে। যদি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় স্কুলটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো তাহলে তারা আরও সুযোগ-সুবিধা পেত।

আরও পড়ুন :

জেবি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh