ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষ, আটক ১
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালুহাটি গ্রামের একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার পরিচালিত অভিযান শেষ করেছে র্যাব।
বুধবার ভোর পাঁচটা থেকে এই অভিযান শুরু হয়ে সকাল নয়টায় শেষ হয়।
এ অভিযানে আকতারুজ্জামান ওরফে সাগর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের দাবি তিনি জেএমবি সদস্য। সাগর একজন কুরআনে হাফেজ এবং কালুহাটি গ্রামের শরাফত হোসেনের ছেলে।
অভিযানকালে এক বস্তা জিহাদি বই, ১টি ডামি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৬ এর কমান্ডিং অফিসার হাসান ইমন আল রাজিব জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাগরের পেছনে কাজ করছিল র্যাব।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালুহাটি গ্রামের শরাফত হোসেন মণ্ডলের বাড়ি ঘিরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেবি
মন্তব্য করুন
১৭ কবরের মাটি সরানো, এলাকায় চাঞ্চল্য
পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন খাশ আমিনপুর কবরস্থান থেকে ১৭টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন প্রায় কয়েক হাজার উৎসুক জনতা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে স্থানীয় ব্যক্তিরা হঠাৎ কবরস্থান জিয়ারত করতে এসে দেখতে পান ১৭টি কবরে মরদেহ নেই।
চুরি হওয়া এক লাশের স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। মহাসড়কের পাশে এ কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। আমাদের দাবি পুলিশ দ্রুত এ ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
এ দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ।
ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, সকালে স্থানীয়রা কবরস্থানে গেলে এ ঘটনা সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ওসি আরও বলেন, কবরগুলোর ওপরের মাটি সরানো। সেখানে কোনো মরদেহ নেই। কিন্তু চুরি হয়েছে কি না এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে কঙ্কালগুলো হারিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীকে যেই স্পর্শ করে সেই অসুস্থ হয়ে পড়ে, হাসপাতালে ৩৫
ভোলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময় এক শিক্ষার্থী মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তাকে স্পর্শ করা ৪০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ৩৫ জনকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পশ্চিম চরপাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এদিন স্কুলে গণিত ক্লাসে হঠাৎ এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে যায়। ওই ছাত্রকে প্রাথমিক সেবা দেওয়া অবস্থায় ওই ছাত্রকে ধরে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরাও একে একে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিছু কিছু ছাত্র স্কুল থেকে বাসায় গিয়েও অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
ক্লাস শিক্ষক আবু ছাঈদ বলেন, ‘আমি ক্লাস নিচ্ছি এমন সময় জিহাদ অসুস্থ হলে তাকে অন্যদের ধরতে বলি। এর কিছুক্ষণ পরেই দেখি যেই ধরে সেই একটা চিৎকার দিয়ে ঘুরে পড়ে যায়। আমারও মাথা ঘুরেছে এবং চোখ দিয়ে হঠাৎ পানি পড়া শুরু করেছে।’
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিহাদ বলেন, ‘গণিত স্যারের ক্লাসে হঠাৎ করে আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছি। এমনভাবে মাথা ব্যথা উঠছে মনে হয়েছে চুলগুলো উঠিয়ে ফেলি। আমার এমন অবস্থা দেখে স্যাররা আমাকে লাইব্রেরিতে নিয়ে যায়। পরে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে।’
সিভিল সার্জন ডা. কেএম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। হঠাৎ ছাত্র-ছাত্রীরা ম্যাস সাইকোজনিক ইলনেস (Mass Psychogenic Illness) নামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে আতঙ্কের কিছু নেই তারা শিগগিরই সুস্থ হয়ে যাবে।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীপক কুমার হালদার জানান, আমি বিকাল ৫টা পর্যন্ত হাসপাতালে থেকে চিকিৎসার অগ্রগতি লক্ষ্য করেছি।
ঘানি টেনে তেল বের করা সেই দুদু মিয়া পেলেন গরু সহায়তা
বগুড়া সারিয়াকান্দির ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ছাইহাটা গ্রামের বৃদ্ধ দুদু মিয়াকে (৬২) গরু সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে এ সহায়তা প্রদান করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান।
তিনি এ উপজেলার নারচী ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
দুদু মিয়া ও তার স্ত্রী হালিমা বেগম দীর্ঘ ৯ বছর ধরে নিজেদের কাঁধে জোয়াল নিয়ে তেলের ঘানি টেনে সরিষা থেকে তেল বের করে অনেক কষ্টে সংসার চালাতেন। এ বিষয়ে গত ১৪ মার্চ আরটিভিতে সরাসরি ভিডিও চিত্র প্রকাশ করা হয়। দুদু মিয়ার আগে ছিল গোয়ালভরা গরু এবং বসতভিটাসহ বেশ কিছু কৃষিজমি। বেশ কয়েকবছর আগে তিনি বাঙালি নদী ভাঙনের শিকার হন। সামান্য জমি কিনে ছাইহাটা গ্রামে বসবাস শুরু করেন। গত কয়েকবছর আগে তার একমাত্র নাতনির দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার জন্য তিনি তার এ ভিটেমাটিও বিক্রি করেন। বিক্রি করেন তার তেলের ঘানি টানা সবগুলো গরু। পরে তিনি নিজেই গরুর বদলে তেলের ঘানির জোয়াল কাঁধে নেন। সারাদিন যা তেল পান তা বাজার বা গ্রামে বিক্রি করে চলতো তার সংসার। এ কাজে তার স্ত্রী হালিমা বেগম তাকে সহযোগিতা করতেন। তিনিও কাঁধে জোয়াল নিয়ে তেলের ঘানি টানতেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সংবাদে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান তাকে একটি গরু কিনে দিয়েছেন এবং তেলের ঘানিটি মেরামত করতে নগদ অর্থ প্রদান করেছেন।
বৃদ্ধ দুদু মিয়া বলেন, ‘গরুডা পায়া হামি খুবই খুশি হছি। আল্লাহ যেন কর্নেল সাহেবের ভালোই করেন। আজ থেকে হামার ঘার থেকে জোয়াল নামল। হামার চির ভোগান্তির অবসান হলো। আর হামার নিজের কাঁধে জোয়াল টানা নাগবি নে।’
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান বলেন, বৃদ্ধ দুদু মিয়াকে এ সহযোগিতা প্রদান করতে পারায় আমিও খুবই খুশি। এতে তার চির কষ্টের অবসান হয়েছে। বেশ কয়েকবছর ধরেই আমি গ্রামের অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
ডাকাত ধরে কাঁধে করে নিয়ে এলেন এএসআই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে কাঁধে করে তুলে এনে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামরুল ইসলাম ভাইরাল হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) নাসিরনগরর উপজেলার হরিপুরে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার ওই এসআইয়ের ছবি ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার জীবন ওই এলাকার হুসন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে। সম্প্রতি তিনি মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি শুরু করেন। তাকে অনেক দিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার ইফতারের আগ মুহূর্তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে নাসিরনগর থানা পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করতে ছদ্দবেশে এসআই রূপন নাথ, এএসআই কামরুল ইসলাম ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে যান।
সেখানে গিয়ে তারা দেখেন ডাকাত জীবন সঙ্গীদের নিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে হাতকড়া নিয়েই পালিয়ে যায় জীবন। পুলিশ ছুটে গিয়ে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে। তার ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এএসআই মো. কামরুল ইসলাম তাকে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে থানায় আনা হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডাকাত জীবন খুবই ধূর্ত। তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় তার কামড়ে রানা নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কেক কাটার পর চলন্ত ট্রেনের নিচে মা-মেয়ের ঝাঁপ
যশোরের চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের পুলতাডাঙ্গা রেললাইন থেকে ট্রেনে কাটা মা এবং মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- মা লাকি বেগম (৩৫) এবং মেয়ে মিম খাতুন (১২)।
তারা খুলনার বাসিন্দা হলেও যশোরের বড় হৈবতপুর গ্রামে ভাড়া থাকতেন।
এলাকাবাসী জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর ফের বিয়ে করেছিলেন লাকি বেগম। কিছুদিন আগে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও ডিভোর্স হয়ে যায় তার।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন রাখাল জানান, তারা মাঠে গরু চরাচ্ছিলেন। এ সময় দেখতে পান, রেললাইনে বসে লাকি বেগম ও তার মেয়ে কেক কেটে খাচ্ছেন। কিন্তু ট্রেন আসার মুহূর্তে লাকি বেগম তার মেয়েকে হাত ধরে টেনে রেললাইনের ওপর ওঠানোর চেষ্টা করছিলেন। একপর্যায়ে ট্রেন কাছে এলে মা-মেয়ে একসঙ্গে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যশোর ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বিকেল ৩টার দিকে জানতে পারি এই পুলতাডাঙা রেললাইনে মা-মেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ভ্যানিটি ব্যাগ, মোবাইল পাই। মোবাইলের মাধ্যমে আমরা পরিচয় শনাক্ত করি।
তিনি আরও বলেন, কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
অস্ত্রোপচারে বের হলো পায়ুপথে ঢুকে পড়া কুঁচিয়া
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবিশ্বাস্য ও দুর্লভ এক অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে গত ২৪ মার্চ। যা এ যাবৎকালের স্বরণীয় ঘটনা হিসেবে বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর পেট থেকে অপারেশন করে জীবন্ত মাছ বের করেছেন হাসপাতালের ডাক্তাররা।
ওসমানী মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মিতিঙ্গগা চা বাগানের উপজাতি বাসিন্ধা ধনমুন্ডার ছেলে সম্ররামুন্ডা (৫৫)। তিনি একজন রেজিস্ট্রার কার্ডধারী জেলে। কাদার মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে তার পায়ুপথ দিয়ে ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) প্রবেশ করে পেটে। দুই দিন পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে সেই মাছ জ্যান্ত বের করা হয়।
সম্ররামুন্ডা বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ ধরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় হাওরে মাছ ধরতে গেলে হঠাৎ কোমর সমান কাদায় আটকে যান। তখন তার দুই হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া মাছের একটি পানিতে পড়ে যায় এবং আরেকটি কাদায় পড়ে। কাদাতে পড়ে যাওয়া মাছ ধরতে গিয়ে তিনি অনুভব করেন তার পায়ু পথে কি যেন ডুকছে। তবে সেটিকে গুরুত্ব দেননি তিনি। পরে সম্ররা মুন্ডা সেখান থেকে উঠে বাড়িতে আসার পর তার পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভব হয়।
তার ছেলে জানান তার বাবা সম্ররামুন্ডা হাফ প্যান্ট পরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। কাদায় আটকে পায়ু পথে মাছ ঢুকলেও তিনি বাড়িতে এসে এ ব্যাপারে কাউকেই কিছু বলেননি।
তবে এক পর্যায়ে পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হলে ২৪ মার্চ রোববারে স্থানীয় হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ওসমানীর চিকিৎসকগণ তার ব্যথার কথা শুনে এক্সরের মাধ্যমে পেটের ভিতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু দেখতে পান। কর্তব্যরত ডাক্তাররা সিনিয়দের সঙ্গে আলাপ করে সম্ররা মুন্ডাকে সন্ধায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান।
সেখানে প্রফেসর জানে আলমের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসক ২ ঘণ্টা অপারেশন চালিয়ে পেটের ভিতর থেকে একটি জীবন্ত কুঁচিয়া (জেল ফিস) মাছ বের করেন। এ ঘটনায় ডাক্তারা বিস্মিত হন। পরে পেটের ভিতর থেকে কুচিয়া মাছ বের করার ঘটনা জনসাধারণের মধ্যে জানাজানি হলে সিলেট জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
রোববার রাতে সিওমেকের সার্জারি ইউনিট-২ প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর পেট থেকে মাছটি বের করা হয়। অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন সার্জারি ইউনিট-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রাশেদুল ইসলাম ও ডা. তৌফিক আজিজ শাকুর।
এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেলের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে জ্যান্ত ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) উদ্ধার করা হয়েছে। এটা একটা অপ্রত্যাশিত ও কঠিন অপারেশন ছিল যা আমাদের টিম ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। রোগী পুরোপুরি সুস্থ আছেন। বর্তমানে সম্ররা মুন্ডা ওসমানী মেডিকেলের ১১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান তিনি। যদি রোগী অপারেশনে আসতে দেরি করতেন তাহলে তার মারা যাওয়ার আশংকা ছিল।
বাঁচানো গেল না সোনিয়াকে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের সবার মৃত্যু
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাবা-মা ও তিন ভাই-বোনের পর এবার মারা গেল শিশু সোনিয়া আক্তারও (১২)।
বুধবার (২৭ মার্চ) ভোরের দিকে সোনিয়ার মৃত্যু হয়।
সোনিয়া গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সোনিয়ার বাবা-মা ও তিন ভাইবোনও মারা যান। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সোনিয়াই বেঁচে ছিল।
সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মামা আব্দুল আজিজ।
তিনি বলেন, সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়।
ঢাকায় সোনিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা পূর্ব গোয়ালবাড়ীর বাসিন্দা এস এম জাকির বলেন, সোনিয়াকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি। সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর আজ ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।