• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চায় রোহিঙ্গারা

টেকনাফ প্রতিনিধি

  ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১২:২৫

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ১৫ নভেম্বর দিনক্ষণ ঠিক করেছে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে এরইমধ্যে যেসব চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, সেসব চুক্তি বাস্তবায়নে মিয়ানমারের আন্তরিকতা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

এ প্রেক্ষাপটে দেশটি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে কিনা তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যেও এক ধরনের সন্দেহ বিরাজ করছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম ফলপ্রসূ করার জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। সবার প্রত্যাশা, ১৫ নভেম্বর থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম যথাযথভাবে শুরু হবে এবং মিয়ানমার পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেবে।

উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয়রাও রোহিঙ্গা ভারমুক্ত হওয়ার বিষয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম আজাদ মন্তব্য করেছেন ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে এতে কোনও সন্দেহ নেই।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সম্পর্কে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গি সংশ্লিষ্ট সবার কাছেই স্পষ্ট। চুক্তি বাস্তবায়নে দেশটির সেনাবাহিনী কী ভূমিকা পালন করে এটিও এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে গিয়ে কোনও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বে কিনা এ আশঙ্কায় তারা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। তারা স্বদেশে ফিরে গিয়ে যাতে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারে, এটা নিশ্চিত করা জরুরি। মিয়ানমার সরকার এদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবে এটাই সবার প্রত্যাশা।

জানা যায়, এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে উভয় দেশ ঐকমত্যে পৌঁছে স্মারকটিতে স্বাক্ষর করেছিল। সেই স্মারকের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে আট হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পাঠায়।

যাচাই-বাছাই শেষে মিয়ানমার ওই তালিকা থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ জনকে প্রত্যাবাসনের ছাড়পত্র দেয়। সেই ছাড়পত্রের মধ্য থেকে দুই হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে। প্রত্যাবাসনের অংশ হিসেবে প্রথম দফায় দুই হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফেরত পাঠানো হবে। এজন্য রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে ৪৮৫টি পরিবারকে বাছাই করা হয়েছে। বাছাইকৃত পরিবারের সদস্যদের তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তাদের শনাক্তকরণের কাজও শেষ। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা বাকি রয়েছে। প্রথম দফায় বালুখালী, জামতলী ও উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাদের প্রত্যাবাসন করা হবে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুন :

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা
৫ মাসের শিশু চুরির ৫ দিন পর উদ্ধার, ২ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
জাতিসংঘে ফের রোহিঙ্গা সংকট উত্থাপন বাংলাদেশের
ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের মাঝে পুলিশের ইফতার বিতরণ
X
Fresh