• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

একটি বাঁশের সাঁকোই ৬ গ্রামের মানুষের ভরসা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

  ০২ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:১৩

জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের আলী বক্স মাদবরের ভাংগায় ছয় বছর যাবত কালভার্ট ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় ছয়টি গ্রামের মানুষের একটি বাঁশের সাঁকোই চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা।

কর্তৃপক্ষ বলছেন আগামী মৌসুমে এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে একটি কাঠের ব্রিজ তৈরি করে দেয়া হবে।

সরেজমিন ঘুরে ও জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের আলীবক্স মাদবরের ভাংগায় ২০১১ সালে এলজিইডি জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট ব্রিজ নির্মাণ করে।

২০১৩ সালে বন্যার পানির স্রোতে কালভার্ট ব্রিজটি ধসে ছয়টি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার ফলে ছাবর আলী বেপারী কান্দি, রমিজ উদ্দিন মুন্সি কান্দি, ফজর আলী মাদবর কান্দি, ফকির কান্দি, সরদার কান্দিসহ প্রায় ছয়টি গ্রামের হাজার হাজার লোক এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না। এই এলাকার মানুষেরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে খুবই কষ্ট করছে। বর্ষা মৌসুমে এলাকাবাসীর যাতায়াতে কষ্টের সীমা থাকে না।

ব্রিজ ভাঙা থাকার কারণে এ রাস্তা দিয়ে কোনও রিকশা, ভ্যানও চলাচল করতে পারছে না। এ কারণে ওই এলাকার মানুষ মালামাল নিয়ে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ব্রিজটি পুনরায় নির্মাণের কোনও উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি জরুরি ভিত্তিতে আলী বক্স মাদবরের ভাংগায় পুনরায় একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়া হোক।তাহলে অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় আতাউর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ব্রিজটি পানির স্রোতে ধসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।অনেক কষ্ট করে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী চলাচল করছে।ব্রিজটি পুনরায় নির্মাণের কোনও উদ্যোগ নেই।

জাজিরা স্কুলের ছাত্রী সালমা আকতার বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের স্কুলে যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বেশি কষ্ট

বড়কান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সরদার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বন্যায় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এরপর আর মেরামত করা হয়নি। একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেয়া হয়েছে। যাতে লোকজন চলাচল করতে পারে। আগামী মৌসুমে এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে কাঠের ব্রিজ তৈরি করে দেয়া হবে।

জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী বিমলেন্দু সরকার বলেন, ২০১৩ সালে ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা স্থায়ী প্রকল্প হাতে নেইনি। কেননা এ এলাকায় নদী স্থির নয়। যেকোনো সময় নদী ভেঙে ব্রিজটির কাছে চলে আসতে পারে। বর্তমানে একটি বাঁশের সাঁকো করে দেয়া হয়েছে। এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে শুকনা মৌসুমে একটি কাঠের ব্রিজ করে দেয়া হবে।নদী স্থির হলে স্থায়ীভাবে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

আরও পড়ুন :

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মোরেলগঞ্জে স্টিলব্রিজের সঙ্গে আটকে গেলো বাস, যাত্রীদের দুর্ভোগ 
ব্রিজের নিচে পড়ে ছিল কিশোরের মরদেহ
সিরাজগঞ্জে ব্রিজের গার্ডার ধস, নিহত ১
ফুটওভারব্রিজে আটকে যায় উড়োজাহাজ, সরানো হলো লেজ খুলে
X
Fresh