• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

এক বছর ধরে রাস্তাটি ভাঙা, কবে ঠিক হবে

মাজেদুল হক মানিক, মেহেরপুর প্রতিনিধি

  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৪২

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সরাসরি বাস চলাচল।ফলে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে যাত্রীরা। বিশেষ করে হাসপাতালগামী রোগী ও নারী যাত্রীদের কষ্টের সীমা নেই। কুষ্টিয়া জেলার অংশে সড়ক বেহাল হওয়ার কারণে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা মেহেরপুর থেকে রাজধানী ও উত্তরবঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া লোকাল বাসের পাশাপাশি দূরপাল্লার বাসও চলাচল করে। সাধারণ মানুষের সাশ্রয়ী বাহন এই বাস। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই সড়কে কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে দুই জেলার বাস মালিক সমিতির বাস চলাচল করতো। মেহেরপুর থেকে প্রতি ১০ মিনিট পর পর একটি করে বাস কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এবং একটি করে বাস মেহেরপুর পৌঁছায়। ফলে ৬০ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই সড়কে যাত্রীরা সহজেই বাস পেতেন।কিন্তু প্রায় এক বছর আগে থেকে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : পাঁচবিবিতে নাশকতা পরিকল্পনার মামলায় ৪ জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
-------------------------------------------------------

মেহেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে মেহেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়ার খলিশাকুন্ডি বাজারে গিয়ে যাত্রী নামিয়ে দেয়। ওই যাত্রীরা খলিশাকুন্ডি থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসে ওঠে। মূলত দুই জেলার মধ্যবর্তী স্থান খলিশাকুন্ডিতে বাস স্টপেজ গড়ে উঠেছে। দুই জেলার মালিক সমিতির বাস সেখান থেকে নিজ নিজ জেলার মধ্যে আলাদাভাবে চলাচল করাচ্ছে।এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ অসহনীয় হয়ে উঠেছে।

খলিশাকুন্ডি লোকাল বাসের সময় নিয়ন্ত্রক (স্টার্টার) আসাদুজ্জামান বাবু আরটিভি অনলাইনকে বলেন, কুষ্টিয়া থেকে খলিশাকুন্ডি পর্যন্ত দীর্ঘ সড়ক পথ চলাচলের অযোগ্য। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত তৈরি হয়ে আছে। কিন্তু রাস্তা ঠিক না হওয়ায় সরাসরি বাস চলাচল করছে না। যাত্রী দুর্ভোগে নেতাদের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

মেহেরপুর জেলার একটি বাসের চালক শামীম রেজা আরটিভি অনলাইনকে বলেন, লোকাল বাস মালিক সমিতির বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া পৌঁছাতে হয়। ভাঙা রাস্তার কারণে আমরা ঠিক সময়ে কুষ্টিয়া পৌঁছাতে পারি না। এতে ফিরে আসার নির্ধারিত ট্রিপ হাতছাড়া হয়ে যায়। ফলে আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়। এ কারণে মালিক সমিতি সরাসরি বাস চালাচ্ছে না।

কুষ্টিয়ার একটি বাসের চালক সুমন হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, রাস্তা বেহাল, যে কারণে বাসের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। নিজেদের আয় ও যাত্রীদের দুর্ভোগ বিবেচনায় রেখে মালিকরা বাস চালাচ্ছেন। রাস্তার যে অবস্থা তাতে এ সড়কে বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার কথা। রাস্তাটি কবে ঠিক হবে।

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র গাংনীর মিনারুল ইসলাম ও মেহেরপুরের জান্নাতুল আক্তার বিউটি বলেন, মধ্যবর্তী স্থানে বাস পরিবর্তন করতে গিয়ে প্রায় ২০ মিনিট সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে আমরা ঠিক সময়ে কলেজে যেতে পারছি না। পরীক্ষার দিনগুলোতে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রী আমাদের মতোই মেহেরপুর থেকে যাতায়াত করে।

এদিকে রোগী পরিবহনে চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গরিব মানুষের একমাত্র বাহন হচ্ছে বাস। ছোট ছোট যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সে খরচ বেশি হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে রোগী নিয়ে যায় বাসে। কিন্তু মধ্যবর্তী বাস পরিবর্তনের ফলে রোগীরা যেমনি অসহনীয় যন্ত্রণার শিকার হচ্ছেন তেমনি বেড়ে যাচ্ছে খরচ।

সরাসরি বাস চলাচল শুরু বিষয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় সরাসরি বাস চলাচল করছে না বলে মালিক সমিতি আমাকে জানিয়েছে। আমি দুই জেলার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছি। জনগণের স্বার্থে পুনরায় সরাসরি বাস চলাচলের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। রাস্তা সংস্কার হচ্ছে। দ্রুতই আমরা বাস চলাচল স্বাভাবিক করতে পারব।

আরও পড়ুন :

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সেনবাগে খালে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ
সৌদিতে ভারী বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট
রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাক চাপায় আইনজীবী নিহত
কোম্পানীগঞ্জে রাস্তার পাশে পড়েছিল এক ব্যক্তির মরদেহ 
X
Fresh