পদ্মায় ভাঙনের হুমকিতে রাজবাড়ীর অবকাশ কেন্দ্র ‘বন্ধন’
হঠাৎ পদ্মা নদীর ভাঙনে রাজবাড়ী শহরের উপকণ্ঠে গোদার বাজার যশোর সেনানিবাসের ৫৫ পদাতিক ডিভিশন নির্মিত অবকাশ কেন্দ্র ‘বন্ধন’ হুমকির মুখে পড়েছে।
এদিকে গোদার বাজার এলাকায় শহর রক্ষা বেড়িবাঁধের ৬০মিটার অংশের ব্লক পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত নদীতে বিলীন হয়ে যায় বাঁধের ওই অংশটি।
ভাঙতে শুরু করেছে নদী তীরবর্তী বিনোদন কেন্দ্রটিও। এ নিয়ে গত সাতদিনে নদীগর্ভে বিলীন হলো শহর রক্ষা বাঁধের একশ ১০ মিটার অংশ।
২০০৯ সালে নির্মিত বাঁধটি হঠাৎ ভেঙে যাওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকাবাসী। হুমকির মধ্যে রয়েছে বহু স্থাপনা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে অবকাশ কেন্দ্র ‘বন্ধন’ সংলগ্ন স্থানে তীব্র ভাঙনের সৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যে নদী তীর রক্ষা বাঁধের ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই ভাঙন প্রতিরোধ করা না হলে অবকাশ কেন্দ্র ‘বন্ধন’সহ আশপাশের এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : টাকায় সিন্দুক ভর্তি, তাই ভাঙতি নিচ্ছে না ব্যাংক!
------------------------------------------------------------------
গোদার বাজার এলাকায় ঘুরতে আসা রাহুল দাস আরটিভি অনলাইনকে বলেন, নদী ভাঙনের তীব্রতা ভয়াবহ। এভাবে ভাঙতে থাকলে ২-৩ দিনের মধ্যেই বিলীন হয়ে যাবে নদী তীরবর্তী এই বিনোদন কেন্দ্রটি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশকৃষ্ণ সরকার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার নদী ভাঙনের তীব্রতা ছিল ভয়াবহ। ব্লক দিয়ে নির্মিত অংশের প্রায় ৬০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা আগামীকাল ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করবেন।
এ বিষয়ে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী এবং রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী কেরামত আলী আরটিভি অনলাইনকে বলেন- আমি ও জেলা প্রশাসক আজ বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাব। পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট গোদার বাজারের মোস্তফার ইটভাটা সংলগ্ন এলাকায় নদী তীর রক্ষা বাঁধের ৫০ গজ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশকৃষ্ণ সরকার আরটিভি অনলাইনকে জানান, মোস্তফার ভাটা এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করা হয়েছে। তবে বিকেল থেকে অবকাশ কেন্দ্র ‘বন্ধন’ সংলগ্ন এলাকায় ধস দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। নদীতে তীব্র স্রোত ও হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারণে এই ধসের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন :
জেবি/পি
মন্তব্য করুন