গাইবান্ধায় স্মার্ট কার্ড বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে স্মার্ট কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে কিন্তু ফটোকপি আছে, কিংবা নতুন ভোটারদের ক্ষেত্রে স্লিপ হারিয়ে গেছে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের উপস্থিতিতেই এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ করেন স্মার্ট কার্ড নিতে আসা ভুক্তভোগীরা।
স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণের কার্যক্রম চলছে। পুরুষ ও মহিলা দু’টি লাইনে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে স্মার্ট কার্ড নিচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকলে দ্বিতীয় তলায় উদ্যোক্তার রুমের সামনে বেশ কিছু মানুষের ভিড় লক্ষ করা যায়। লাইন বাদ দিয়ে উদ্যোক্তার রুমে সামনে মানুষের এতো ভিড় কেন? প্রশ্নের অনুসন্ধানে কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, যাদের ভোটার স্লিপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে তাদের কাছ থেকে টাকা জমা নিয়ে স্মার্ট কার্ড দেয়া হচ্ছে। এমন কথা শুনে উদ্যোক্তার অফিস রুমে গিয়ে দেখা যায় সেখানে টাকা লেনদেনের হচ্ছে। ১৫ থেকে ২০ জন পুরষ ও মহিলা হাতে টাকা নিয়ে দাড়িয়ে আছে যাদের স্লিপ ও পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : গাইবান্ধায় পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার ১
-------------------------------------------------------
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : গাইবান্ধায় পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার ১
-------------------------------------------------------
ওই ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মো. জিয়াউর রহমান তাদের নাম ও ঠিকানা একটি সাধারণ খাতায় লিখছেন এবং টাকা জমা নিচ্ছেন। তবে টাকা নেয়ার কোন রশিদ প্রদান করছেন না তিনি।
নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী, যাদের পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে তাদের চালান ফরমের মাধ্যমে নির্ধারিত কোডে ৩৪৫ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে ভেন্যু থেকে স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া নতুন ভোটারদের স্লিপ হারিয়ে গেলে তাদের ১২৫ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। কিন্তু পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। সেখানে ওই পরিষদের উদ্যোক্তা মো. জিয়াউর রহমান নানা অজুহাত দেখিয়ে পরিচয় পত্র হারিয়ে যাওয়া প্রতি ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে আদায় করছেন এবং নতুন ভোটার যারা এখনও পরিচয়পত্র পায়নি তাদের স্লিপ হারিয়ে যাওয়ায় তাদের কাছ থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।
চালান ফরমের টাকা জমা দেয়ার কথা থাকলেও তারা কেন উদ্যোক্তাকে টাকা জমা দিচ্ছেন এবং টাকা জমার কোন রশিদ দিচ্ছেন কি না তা জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্যামপুর গ্রামের কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, আমাদের পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে। পরিচয়পত্র ছাড়া স্মার্ট কার্ড দিচ্ছে না। আমরা পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহীনুর আলমকে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পরে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি উদ্যোক্তা জিয়াউরের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তাই আমরা উদ্যোক্তার কাছে এসে টাকা জমা দিচ্ছি। তবে আমাদেরকে টাকা জমা দেওয়ার কোন রশিদ দেওয়া হচ্ছে না।
উদ্যোক্তা মো. জিয়াউর রহমান অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের কথা অস্বীকার করে বলেন, ব্যাংকে টাকা জমা দানের ভোগান্তি কমানোর জন্য পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহীনুর আলমের অনুমতি সাপেক্ষে টাকা গ্রহণ করা হচ্ছে। এসব টাকা একসঙ্গে ব্যাংকে জমা দেয়া হবে এবং সবাইকে ডেকে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে।
মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুল ইসলাম মণ্ডল অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অনেক বয়স্ক মানুষ আছে যারা পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলেছেন তাদের এবং অনেক দূর থেকে আসা সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে হয়রানির স্বীকার না হতে হয় সেদিক বিবেচনা করে পরিষদে টাকা নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে সবার টাকা একসাথে ব্যাংকে জমা দিয়ে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে।
তবে মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে স্মার্ট কার্ড বিতরণে টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহীনুর আলম তা অস্বীকার করেন। ওই পরিষদের উদ্যোক্তা মো. জিয়াউর রহমান পরিচয় পত্র হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং নতুন ভোটার কাছ থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায়ের বিষয়ে অভিযোগ করা হলে তিনি কোন কথা না বলে ভেন্যু ত্যাগ করে সটকে পড়েন।
জেলা নির্বাচন অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, ভেন্যুতে নগদ টাকা নেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। টাকা লেনদেনের জন্য ব্যাংক আছে। কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসএস
মন্তব্য করুন
কেক কাটার পর চলন্ত ট্রেনের নিচে মা-মেয়ের ঝাঁপ
যশোরের চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের পুলতাডাঙ্গা রেললাইন থেকে ট্রেনে কাটা মা এবং মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- মা লাকি বেগম (৩৫) এবং মেয়ে মিম খাতুন (১২)।
তারা খুলনার বাসিন্দা হলেও যশোরের বড় হৈবতপুর গ্রামে ভাড়া থাকতেন।
এলাকাবাসী জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর ফের বিয়ে করেছিলেন লাকি বেগম। কিছুদিন আগে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও ডিভোর্স হয়ে যায় তার।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন রাখাল জানান, তারা মাঠে গরু চরাচ্ছিলেন। এ সময় দেখতে পান, রেললাইনে বসে লাকি বেগম ও তার মেয়ে কেক কেটে খাচ্ছেন। কিন্তু ট্রেন আসার মুহূর্তে লাকি বেগম তার মেয়েকে হাত ধরে টেনে রেললাইনের ওপর ওঠানোর চেষ্টা করছিলেন। একপর্যায়ে ট্রেন কাছে এলে মা-মেয়ে একসঙ্গে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যশোর ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বিকেল ৩টার দিকে জানতে পারি এই পুলতাডাঙা রেললাইনে মা-মেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ভ্যানিটি ব্যাগ, মোবাইল পাই। মোবাইলের মাধ্যমে আমরা পরিচয় শনাক্ত করি।
তিনি আরও বলেন, কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
অস্ত্রোপচারে বের হলো পায়ুপথে ঢুকে পড়া কুঁচিয়া
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবিশ্বাস্য ও দুর্লভ এক অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে গত ২৪ মার্চ। যা এ যাবৎকালের স্বরণীয় ঘটনা হিসেবে বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর পেট থেকে অপারেশন করে জীবন্ত মাছ বের করেছেন হাসপাতালের ডাক্তাররা।
ওসমানী মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মিতিঙ্গগা চা বাগানের উপজাতি বাসিন্ধা ধনমুন্ডার ছেলে সম্ররামুন্ডা (৫৫)। তিনি একজন রেজিস্ট্রার কার্ডধারী জেলে। কাদার মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে তার পায়ুপথ দিয়ে ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) প্রবেশ করে পেটে। দুই দিন পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে সেই মাছ জ্যান্ত বের করা হয়।
সম্ররামুন্ডা বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ ধরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় হাওরে মাছ ধরতে গেলে হঠাৎ কোমর সমান কাদায় আটকে যান। তখন তার দুই হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া মাছের একটি পানিতে পড়ে যায় এবং আরেকটি কাদায় পড়ে। কাদাতে পড়ে যাওয়া মাছ ধরতে গিয়ে তিনি অনুভব করেন তার পায়ু পথে কি যেন ডুকছে। তবে সেটিকে গুরুত্ব দেননি তিনি। পরে সম্ররা মুন্ডা সেখান থেকে উঠে বাড়িতে আসার পর তার পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভব হয়।
তার ছেলে জানান তার বাবা সম্ররামুন্ডা হাফ প্যান্ট পরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। কাদায় আটকে পায়ু পথে মাছ ঢুকলেও তিনি বাড়িতে এসে এ ব্যাপারে কাউকেই কিছু বলেননি।
তবে এক পর্যায়ে পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হলে ২৪ মার্চ রোববারে স্থানীয় হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ওসমানীর চিকিৎসকগণ তার ব্যথার কথা শুনে এক্সরের মাধ্যমে পেটের ভিতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু দেখতে পান। কর্তব্যরত ডাক্তাররা সিনিয়দের সঙ্গে আলাপ করে সম্ররা মুন্ডাকে সন্ধায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান।
সেখানে প্রফেসর জানে আলমের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসক ২ ঘণ্টা অপারেশন চালিয়ে পেটের ভিতর থেকে একটি জীবন্ত কুঁচিয়া (জেল ফিস) মাছ বের করেন। এ ঘটনায় ডাক্তারা বিস্মিত হন। পরে পেটের ভিতর থেকে কুচিয়া মাছ বের করার ঘটনা জনসাধারণের মধ্যে জানাজানি হলে সিলেট জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
রোববার রাতে সিওমেকের সার্জারি ইউনিট-২ প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর পেট থেকে মাছটি বের করা হয়। অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন সার্জারি ইউনিট-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রাশেদুল ইসলাম ও ডা. তৌফিক আজিজ শাকুর।
এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেলের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে জ্যান্ত ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) উদ্ধার করা হয়েছে। এটা একটা অপ্রত্যাশিত ও কঠিন অপারেশন ছিল যা আমাদের টিম ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। রোগী পুরোপুরি সুস্থ আছেন। বর্তমানে সম্ররা মুন্ডা ওসমানী মেডিকেলের ১১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান তিনি। যদি রোগী অপারেশনে আসতে দেরি করতেন তাহলে তার মারা যাওয়ার আশংকা ছিল।
নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ
বরিশালের একটি মসজিদে নামাজ চলাকালে বিকট শব্দে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) শহরের জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদে জোহরের নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে।
মুসল্লিরা জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে আমরা জোহরের নামাজে দাঁড়িয়ে তারা দোতলায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পান। এ সময় পুরো মসজিদ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা ছুটে গিয়ে দেখেন মসজিদের ইমামের থাকার কক্ষের এসি বিস্ফোরণে আগুন লেগে গেছে। এরপর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল আলম জানান, এসি বিস্ফোরণে মসজিদের আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনার সাথে সাথে মসজিদের বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন জানান, আমাদের চারটি ইউনিট আগুন যেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের ধারণা, বেশি সময় চলায় গরম হয়ে এসির কমপ্রেসর বিস্ফোরণ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ জনের
মাগুরার শালিখা উপজেলার ছয়ঘড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মাগুরা সদর হাসপাতাল ও বাঘারপাড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- নিরুপমা দে (৪৫), পুষ্প রানী দে (৪০) ও মধু শিকদার (৫০)। এদের মধ্যে নিরুপমা ও পুষ্প যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের। মধুর বাড়ি মাগুরায়।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে একটি সিএনজিযোগে মাগুরার চঞ্চল গোসাইয়ের আশ্রমে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান দেখতে যান তারা। নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে শালিখা উপজেলার ছয়ঘড়িয়া হাজাম বাড়ির মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে একটি নসিমন সিএনজিকে ধাক্কা দিলে উল্টে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে নিহত হন নিরুপমা ও পুষ্প। গুরুতর আহত নিহত নিরুপমা দের স্বামী নিতাই দে ও সিএনজিচালক বাবলু হোসেন। তাদেরকে প্রথমে নারিকেলবাড়িয়ায় একটি ক্লিনিকে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে যশোরে রেফার করা হয়েছে।
মাগুরার শালিখা থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার ঘোষ জানান, সিএনজিতে ড্রাইভারসহ মোট ৯ জন যাত্রী ছিলেন।
সন্তান কোলে নারীর আত্মহত্যা, বাঁচাতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু
গাইবান্ধা সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক কলেজছাত্রসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা আদর্শ কলেজ-সংলগ্ন রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে জোবায়ের মিয়া (১৮) এবং গাইবান্ধা সদরের মাঝিপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২৩)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, গৃহবধূ রাজিয়া বেগম দেড় বছরের শিশু সন্তান কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এ সময় কলেজছাত্র জোবায়ের মিয়া তাদের বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এ ঘটনায় কোলে থাকা দেড় বছরের শিশু আবির হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন।
তিনি জানান, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এটি আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় গাইবান্ধা জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।
মাকে মারধর, ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে বাবার আত্মসমর্পণ
গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিজের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন এক বাবা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন।
ওসি বলেন, ঘাতক বাবা আব্দুর রশীদ বাগমার (৭৫) তার মাদকাসক্ত ছেলে কাউসার বাগমারকে (২৪) হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় ঘাতক বাবাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোরে উপজেলার জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাউসার মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়া করতেন। ভোরে কাউসারকে তার বাবা কুঠার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
নিহতের মা মোসলেমা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই বাড়িতে ঝগড়া বিবাদ ও ভাঙচুর করতো। মাদকের টাকার জন্য জমি বিক্রি করতে তার বাবাকে প্রায়ই চাপ দিচ্ছিল। মঙ্গলবার রাতেও নেশার জন্য ২ কাঠা জমি বিক্রি করে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হলে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় তার বাবা ভোরে কাউসারকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুঠার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
ব্যাংক কর্মকর্তা অপহরণ : যত টাকা মুক্তিপণ দাবি
বান্দরবানে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাকে মুক্তি দিতে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) অপহৃত সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনের পরিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নেজাম উদ্দিনের পরিবারের এক সদস্য বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নেজাম উদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রী মাইছূরা ইসফাতের ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। অপহরণকারীরা তার মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। পরে পরিবার বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে নেজামকে উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
পরিবার ও ব্যাংকের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। প্রশাসনও আশ্বস্ত করেছে যে, নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে তাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম (বান্দরবান) মো. ওসমান গণি গণমাধ্যমকে বলেন, নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে সব ধরনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসন খুবই তৎপর। তবে মুক্তিপণ ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না।