• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ভৈরবে আড়াই হাজার খামারে প্রস্তুত হচ্ছে কুরবানির পশু

মো. আল আমিন টিটু, ভৈরব

  ০৭ আগস্ট ২০১৮, ১৩:২৫

গোয়াল কিংবা বাড়ির আঙিনায় গবাদি পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা। বুক ভরা আশা নিয়ে তারা দিন গুণছে কখন জমে উঠবে পশুর হাট। গত বছর শেষের দিকে দাম পড়ে যাওয়ায় ভৈরবের অনেক খামারি লোকসানের মুখে পড়েন। ফলে অনেক গবাদি পশু অবিক্রিত থেকে যায়। পরে খামারিরা সেইসব পশু স্থানীয় হাট-বাজারে কসাইদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এ বছর যদি বাজারে ভারতীয় পশুর আমদানি না হয়, তাহলে গত বছরের লোকসান পুষিয়ে লাভবান হবেন তারা। এমনই আশাবাদী এই অঞ্চলের খামারিরা।

জানা গেছে, শহরের বড় বড় খামার থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক খামারিরা দেশীয় পদ্ধতিতে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুধুমাত্র সবুজ ঘাস, খড়, কুড়া, কৈল ও ভূষির মাধ্যমে পশু মোটাতাজা করছেন তারা। ফলে যেকোনও ধরনের রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে এসেছে। এছাড়া পশু চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রয়োজনে কৃমিনাশক, ভিটামিন ও নির্দিষ্ট রোগের ওষুধ খাওয়ানো হলেও ক্ষতিকর ট্যাবলেট এবং ইনজেকশন ব্যবহার থেকে বিরত রয়েছেন খামারিরা। ফলে ক্রেতারা হাটে পাবেন নিরাপদ গবাদি পশু।

পৌর শহরের দড়ি চণ্ডিব এলাকার খামারি জসিম উদ্দিন আরটিভি অনলাইনকে জানান, বাজারে গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের পশু মোটাতাজাকরণের ব্যয় অনেকাংশে বেড়েছে। যদি দেশে ভারতীয় পশু আমদানি না হয়, তাহলে অনেকেই গেল বছরের লোকসান পুষিয়ে অধিক লাভবান হবেন।

একই এলাকার খামারি রীনা বেগম বলেন, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ ও সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেলে ব্যাপকহারে পশু লালন-পালনে আগ্রহী হয়ে উঠতেন বলে মনে করেন অনেক প্রান্তিক খামারি। এতে অধিক লাভবান হতেন তারা।