‘নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা’
নির্বাচনের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের কারও বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের বা দায়িত্বহীনতার অভিযোগ পেলেই নির্বাচন কমিশন তা খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। বললেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
আজ (বুধবার) দুপুরে রাজশাহী কর্মচারী কল্যান বোর্ড মিলনায়তনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
শাহাদাত হোসে বলেন, অতিতের যে রাজনীতি সংস্কৃতি ও নির্বাচন সংস্কৃতি দেখে এসেছি তা ভুল প্রমাণ হয়েছে। ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মারার কোন সুযোগ থাকবে না। খুলনা ও গাজীপুরে কোনও ধরণের অনিয়ম হয়নি। রাজশাহীতেও হবে না।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহীর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : মুক্ত হয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরলো পাচারের শিকার ৪ কিশোর
--------------------------------------------------------
মতবনিময় সভায় জানানো হয়, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালনে থাকবে ১৪০০ পুলিশ, ১৯৩২ জন আনসার, ৪৫০ জন র্যাব, ৪৫০ জন বিজিবি ও ৪০ জন ম্যাজিস্টেট। আর প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন ও ঝুকিপুর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এবারে রাজশাহীতে দুটি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম দ্বারা ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা থাকছে।
মতবনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরোপেক্ষ করতে যা যা করার দরকার তার কোনও ত্রুটি থাকবে না।
এদিকে, রাজশাহীতে সিটি নির্বাচনের প্রচার প্রচারনায় আজ সকাল থেকেই মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়রপ্রার্থীরা।
বিএনপির মনোনিত মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল সকাল ৮টা ডাশমারী খোজাপুর গোরস্থান থেকে গণসংযোগ শুরু করেন।
এসময় তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এবং রাজশাহীবাসী ধানের শীষের পক্ষে আছেন আগামী নির্বাচনে তারাই জয়ী হবেন বলে জানান।
এদিকে বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের মেয়রপদপ্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নগরীর নওদাপাড়া বাজার থেকে গণসংযোগ শুরু করেন।
এসময় লিটন বলেন, আবারও মেয়র হতে পারলে রাজশাহীর উন্নয়নের গতি ব্যহত হতে দেবেন না।
জেএইচ
মন্তব্য করুন