• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সিলেটকে সাজাতে একযোগে কাজ করবেন আরিফ-কামরান

রাজ্জাক রনু, সিলেট

  ১৫ জুলাই ২০১৮, ১৭:১৩

‘শান্তি জিতলে জিতবে দেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশল, ইউএসএআইডি ও ইউকে এইড এর যৌথ উদ্যোগে রোববার সিলেট নগরীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সংলাপে নাগরিক অগ্রাধিকার’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠান।

নগরীর মীরের ময়দানস্থ একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স রুমে বেলা ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে প্যানেল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এবং বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে সিলেট সিটি করপোরেশন নাগরিক অগ্রাধিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সুধীজনরা কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে অংশ নেন। কর্মশালা থেকে নগর উন্নয়নে প্রাপ্ত বিভিন্ন পরামর্শ ও পরিকল্পনা তুলে ধরা হয় দুই মেয়র প্রার্থীর সামনে। পরে তারা এগুলোর উপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন। নগরকে সাজানোর ব্যাপারে তুলে ধরেন নিজেদের পরিকল্পনাও।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বাগদা চিংড়ির রেনু জব্দ, আটক ৩
--------------------------------------------------------

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন আমি আমার বিগত দায়িত্বকালে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় তিন বছরই ছিলাম সরকারের হেফাজতে। সে কারণে আমি নগরবাসীর উন্নয়নে কাজ করতে পারিনি। মাত্র দুই বছরে যতটুকু কাজ করেছি সেগুলো সবাই জানেন। নগরীর অন্যতম সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা সমস্যা। সেটি নিরসনে আমি নিরন্তর কাজ করেছি। যার সুফল নগরবাসী পাচ্ছেন। নগরবাসীকে উন্নত সেবা প্রদানের জন্য আমরা সিটি করপোরেশনকে ডিজিটালাইজড করেছি। এখন নগরবাসী ঘরে বসেই সিটি করপোরেশন অনেক সেবা নিতে পারছেন।

বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, নগরীর অন্যতম সমস্যা মাদক সমস্যা। এটির নিরসনে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি ও নাগরিকদের নিয়ে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো যুদ্ধ করব। ইনশাল্লা এই পূণ্যভূমি মাদকমুক্ত হবে। নগরীর যানজট সমস্যার জন্য হকাররা একা দায়ী নয়। এদের সঙ্গে যানবাহনগুলোও দায়ী। যানজট নিরসনে নগরীর ব্যস্ততম স্থানে একাধিক বহুতল পার্কিং জোন নির্মাণ করব। নগরীর বেকার যুবসমাজকে কাজে লাগাতে তাদের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব।

আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে অনেক কাজ করা হয়েছে। ধোপাদিঘী পাড়ে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে। যার মাধ্যমে নগরবাসী পাবেন নির্মল নিঃশ্বাস গ্রহণের স্থান। যানজট নিরসনের জন্য ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে হকাররা রাজপথ ছাড়ছেন। তারা আদালতের নিষেধও মানছে না। আমি আগামীতে সুযোগ পেলে কোনও অপশক্তির কাছে মাথা নত করব না। এই সিলেট নগরীকে সত্যিকারের একটি সৌন্দর্যমণ্ডিত নগর হিসেবে গড়ে তুলব।

বদরউদ্দিন আহমদ কামরান নগরীর জলাবদ্ধতা নিয়ে বলেন, আমার ভাই সদ্য সাবেক মেয়র বলেছেন নগরী জলাবদ্ধতামুক্ত হয়েছে।কিন্তু সেটি বাস্তবে কতটা হয়েছে সেটি নগরবাসী দেখতে পেয়েছেন কিছুদিন আগে। তার সময়ে নগরীর ছড়া-খাল উদ্ধারে দুইশ কোটি টাকারও বেশি সরকারি বরাদ্দ পেয়েছেন।কিন্তু আমার সময়ে আমি মাত্র ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে কাজ করেছি। নয়টি ছড়াকে অবৈধ দখল মুক্ত করেছি। এই নগরীর ছড়াগুলো দিয়ে অতীতে ছোট ছোট নৌকা চলাচল করেছে। কিন্তু তা এখন অলিক কল্পনা বলা চলে। আমি চাই সেদিন আবার ফিরে আসুক। নগরীর ছড়াগুলো সত্যিকার অর্থে দখলমুক্ত হোক। আমি সুযোগ পেলে সেটি করব। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সুরমা নদী খনন করা প্রয়োজন। আমি সুরমা নদীকে খনন করে এটিকে টেমসের মতো করে গড়ে তুলতে চাই।

সংলাপের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক (কার্যক্রম) আমিনুল এহসান। অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সুধীসমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এর আগে সিটি নির্বচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা গণসংযোগ করেন। বিএনপির প্রার্থী সকালে নগরীর মধুবন মার্কেট ও হাসান মার্কেটে গণসংযোগ করেন। এসময় অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান গণসংযোগ করেন সিলেট নগরীর রায়নগর, দর্জিপাড়া, দপ্তরিপাড়া এলাকায়। এসময় তিনি ভোটারদের নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নৌকা জিতলে আমি এই সিটি করপোরেশনের জন্য উন্নয়ন করতে পারব।

এছাড়া জামায়াতের প্রার্থী যিনি স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন এহসানুল মাহবুব জুবায়ের গণসংযোগ করেছেন নগরীর কাজিরবাজার এলাকায় ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী যিনি স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটযুদ্ধে রয়েছেন বদরুজ্জামান সেলিম গণসংযোগ করেছেন মধুবন এলাকায়।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত
১৫০ উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দ আজ
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
উপজেলা নির্বাচনে মাঠে আছেন বিএনপির অন্তত ৩০ নেতা 
X
Fresh