• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

‘চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছে’

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ২৪ জুন ২০১৮, ২১:১৫

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিডিএ মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। নালাসমূহ পরিষ্কার করার সময় স্লাব উঠানো হচ্ছে। কিন্তু কাজ শেষে স্ল্যাবগুলো নালার উপর বসানো হচ্ছে না। অথচ অধিকাংশ নালার স্ল্যাব ফুটপাত হিসেবে ব্যবহার হয়। তাতে মানুষের হাঁটাচলায় বিঘ্ন ঘটছে। আর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে তো এসব খোলা নালা মৃত্যুকূপে পরিণত হয়। তাই এসব বিষয়ে সিডিএকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

রোববার দুপুরে করপোরেশনের কনফারেন্স হলে নগর উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির ১২তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন

এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমন্বয় করা গেলেই নগরবাসীর ভোগান্তি ও বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে। তাই সিডিএ, ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও টিএন্ডটিসহ অন্যান্য সেবাদানকারী সংস্থার মধ্যে অবশ্যই সমন্বয় থাকা বাঞ্ছনীয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা পরিপত্রে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় সাধনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

মেয়র আরও বলেন, সমন্বয়হীনতার কারণে পরিকল্পিত উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। কোন প্রতিষ্ঠানের কি দায়িত্ব তা জানে না নগরবাসী। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। তাই সকলকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাতেই চট্টগ্রামের পুঞ্জিভূত সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি বলেন, ভালো কাজের আলোচনা নেই। মন্দ কাজের জন্য সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই মন্দ কাজের জন্য নগরবাসী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে দোষারোপ করে। তাই নগরীর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার কি কাজ, তা নগরবাসীকে অবহিত করা একান্ত অপরিহার্য। ওয়াসা, পিডিবি, টিএন্ডটিসহ বিভিন্ন সংস্থা রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে। দুর্ভোগ বাড়ে সাধারণ মানুষের। চট্টগ্রাম শহরের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকল্প একনেকে পাশ করানোর পর আমাদের কাছে রাস্তা কাটার অনুমতি চায়। তখন আমাদের অনুমতি না দিয়ে উপায়ও থাকে না। প্রকল্প গ্রহণের আগে সমন্বয় করলে এ সমস্যা হতো না।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরে ৩ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন সংস্থার কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজগুলো বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামে দৃশ্যমান উন্নয়ন পরিলক্ষিত হবে।

পাহাড়ের ঝুকিপূর্ণ বসবাস নিয়ে সিটি মেয়র বলেন, এভাবে তো চলতে পারে না। নগরীতে যত্রতত্র পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এ সমস্যা দেখার দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। এই পাহাড় কাটা রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর যদি সিটি করপোরেশনের সহায়তা চায়, সে ক্ষেত্রে চসিক সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজাদুর রহমান মল্লিক, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চট্টগ্রামের ডেপুটি ডাইরেক্টর ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জহির উদ্দিন প্রমুখ।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জিম্মি নাবিকদের নিরাপত্তায় দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিব্রতকর বক্তব্য থেকে দায়িত্বশীলদের বিরত থাকা উচিত : কাদের
ক্ষমতা প্রয়োগে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে : রাষ্ট্রপতি
X
Fresh