নতুন জামা-ফিন্নি না পেলেও শান্তিতে ঈদ করতে পেরেই খুশি রোহিঙ্গারা
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে উদযাপন করেছে ঈদ। প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে মাত্র কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে সরকার ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে গরুর মাংস, নতুন জামা সেমাই ও চিনিসহ ঈদের বিশেষ উপহার প্রদান করা হলেও অধিকাংশ রোহিঙ্গা ঈদ পালন করছেন সাদামাটাভাবে।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ পালন করতে পারা, আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যেতে পারাসহ নানা কারণে বেজায় খুশি রোহিঙ্গারা।
নতুন জামা, ফিন্নি বা সেমাই ভাগ্যে নাইবা জুটুক, শান্তিতে ঈদ করতে পেরে আর অন্যদের বাড়িতে ঈদের দিন বেড়াতে যেতে পেরে খুশি রোহিঙ্গারা। আর যাদের ভাগ্যে জুটেছে নতুন জামা তারা তো বেজায় খুশি। তবে ঈদের এই আনন্দ কিছুতেই ভুলিয়ে দিতে পারেনি রোহিঙ্গাদের হৃদয়ের চাপা কষ্ট। নিজেদের সহায়-সম্পত্তি, ভিটে সবকিছু হারানোর বেদনা তাদের তাড়া করে বেড়ায়।
এতকিছুর পরও বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতাকে বড় ঈদের মতোই খুশি হিসেবে দেখছেন রোহিঙ্গারা। তারা বলেন, আমাদের অনেক কষ্টের সময় বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়েছে সেটাই আমাদের কাছে অনেক কিছু। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রায় ১ হাজার মসজিদ ও ৫শ’ মক্তবে আজ ঈদের জামাত করেছে রোহিঙ্গারা। সরকারের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৪০টি গরু। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে নতুন জামা, সেমাই, চিনি, দুধসহ ঈদের বিশেষ উপহার।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, সরকার ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে গরুর মাংস, নতুন জামা সেমাই ও চিনি এবং বেশকিছু নতুন জামা দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা বলতে পারি বাংলাদেশে আসার পর রোহিঙ্গারা খুব ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারছে।
এদিকে যার দেশ নেই, তার আবার কিসের ঈদ। এমনও ক্ষোভ অনেক রোহিঙ্গার। দেশহীন হয়ে প্রথম ঈদ বাংলাদেশের মাটিতে যেভাবেই কাটুক না কেন, অন্তত পরের ঈদটা যেন দেশের মাটিতে হোক এমন প্রত্যাশা সকল রোহিঙ্গার।
এসএস
মন্তব্য করুন