সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত
সিলেটের সীমান্তবর্তী কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কানাইঘাট, গোয়াইঘাট, জৈন্তাপুর ও সিলেট সদর। জেলার প্রধান দুটি নদী সুরমা কুশিয়ারার পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় হাইড্রোলজি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, সুরমা নদী সিলেট ও কানাইঘাটে এবং কুশিয়ারা নদী শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কানাইঘাট বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। স্থানীয় গৌরিপুর, কান্দেবপুরে নবনির্মিত সুরমা ডাইক নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন এলাকার মানুষ।
পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিলেট সারীঘাট-গোয়াইনঘাট সড়ক তলিয়ে গেছে হাঁটু পানির নিচে।
এদিকে ভারতের মেঘালয়ে ভারি বর্ষণ ও বৃষ্টিপাতের কারণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরের পিয়াইন ও সারী অববাহিকায় পানি বৃদ্ধির কারণেই জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলা দুটির সবকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
গোয়াইনঘাটের পূর্ব জাফলং, আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, ডৌবাড়ী, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল ও নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের রাস্তাঘাট ও বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা একরকম বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জৈন্তাপুরের ডুলটিরপাড়, বিরাখাই, শেওলারটুক, আসামপাড়া নিজপাটসহ নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দি হয়ে মানুষজন বিপদগ্রস্ত হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা ও তিন নম্বর পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লেবু জানান, হিদাইর খালি বাঁধের কারণেই গোয়াইনঘাটের পূর্ব জাফলং, আলীরগাঁও এবং জৈন্তাপুরের হাওরাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সহকারী ওমর তালুকদার আরটিভি অনলাইনকে জানান, আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
জেবি
মন্তব্য করুন