পাহাড়ি ঢলে বাংলাদেশ-ভারত সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার চাতলা চেক পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে দুই দেশে যাতায়াতকারী অনেক যাত্রীকে আটকা পড়তে দেখা যায়।
শরীফপুরের আমতলা থেকে চাতলাপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক তিন ফুট পানিতে নিমজ্জিত ও দুটি স্থানে সড়ক ভেঙে গেছে। মনু নদের চাতলা সেতুর পাশে একটি কালভার্টের একাংশ দেবে যাওয়ায় বুধবার দুপুর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে দুই দেশের কোনও যাত্রী যাতায়াত করতে পারেনি।
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে চাতলা সেতুর উত্তর দিকে কয়েক মাস আগে নির্মিত প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে ঢলের পানি দ্রুতগতিতে গ্রামে প্রবেশ করে। বুধবার সকালে আবার নিশ্চিন্তপুর গ্রাম এলাকায় মনু নদের প্রতিরক্ষা বাঁধে নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়। ফলে নছিরগঞ্জ, ইটারঘাট, মনোহরপুর, নিশ্চিন্তপুর, মাদানগর গ্রামের ১ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : পচা হালিম বিক্রি, লালবাগের জান্নাত ক্যাফেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
--------------------------------------------------------
সরেজমিনে দেখা যায়, আমতলা বাজার থেকে ৪ কিলোমিটার দূরবর্তী চাতলাপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত সড়কের দুটি স্থান ভেঙে নালার সৃষ্টি হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় চাতলা সেতুর উত্তর দিক ও এ সেতুর সংলগ্ন একটি কালভার্ট দেবে যায়। এর পর থেকে এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশে যাতায়াতকারী অনেক যাত্রীকে আটকা পড়তে দেখা যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্রশংকর চক্রবর্তী শরীফপুরে মনু নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের চারটি স্থানের ভাঙনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মনুর চাতলা সেতু এলাকায় বুধবার দুপুরে ১৭৩ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
সড়ক জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টুরঞ্জন দেবনাথ বলেন, মনু নদের চাতলা সেতু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তার পাশেই একটি কালভার্ট একপাশে দেবে গেছে। তবে সড়ক ও জনপথকর্মীরা বিষয়টি নজরদারী করছে।
বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে মৌলভীবাজার-২ আসনের সাংসদ আব্দুল মতিন, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বি শরীফপুর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় তারা জানান, এ ইউনিয়নের পানিবন্দী মানুষের জন্য জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ প্রদানসহ আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নদীর পানি কমলে ও সড়ক থেকে পানি নেমে গেলে জরুরি ভিত্তিতে সড়ক যোগাযোগ চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন :
পি
মন্তব্য করুন