• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চীন-ভারতের জুতায় সয়লাব ঈদবাজার, দেশীয় শিল্পে ধস

ভৈরব প্রতিনিধি

  ০৭ জুন ২০১৮, ১৪:৫৮

বাজারে ভারতীয় ও চায়না জুতার দখলের কারণে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাতের তৈরি দেশীয় পাদুকার বেচা-কেনা কমে গেছে কয়েকগুণ। ফলে পাদুকার সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার কারিগর, কারখানার মালিক ও ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

বাহারি ও নান্দনিক হাতের তৈরি পাদুকার উপকরণ ফোম, পেস্টিং, রাবার, রেক্সিনসহ বিভিন্ন কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও কারিগরের মজুরি দিয়ে যে উৎপাদন খরচ পড়ে সে তুলনায় দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা ভারতীয় ও চায়না জুতা কিনতে আগ্রহী বেশি। তাই এবার দেশীয় জুতার চাহিদা কম হওয়ায় চিন্তিত পাদুকা ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার পরেই দেশের দ্বিতীয় পাদুকার পাইকারি বাজার গড়ে উঠেছে বন্দরনগরী ভৈরবে। ফলে উপজেলার কালিকাপ্রসাদ, শিবপুর ও গজারিয়াসহ শহরের কমলপুর এবং শম্ভুপুর এলাকায় অন্তত ৬ হাজারের অধিক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ৬০ হাজারের বেশি কারিগর কাজ করছেন। এছাড়াও কারখানায় উৎপাদিত পাদুকা পাইকারি বিক্রির জন্য শহরে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি মার্কেট। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা জুতা কিনতে ভিড় করেন ভৈরবে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : সাতক্ষীরায় অস্ত্র ও গুলিসহ দুই ডাকাত আটক
--------------------------------------------------------

এ জেলায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং দৃষ্টি নন্দিন ও বাহারি রঙের জুতা পাইকারদের নজর কাড়ে। তাছাড়া দাম ও পরিবহন খরচ কম হওয়া এখানে সারাবছরই কমবেশি জুতা বেচা-কেনা হয়। ফলে রমজানে ঈদকে সামনে রেখে এখানে কোটি কোটি টাকার জুতা বেচা-কেনা হয়।

ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রত্যেকবার রমজান আসার আগেই সকল পাদুকা ব্যবসায়ী ও কারিগররা সকাল থেকে ভোর পর্যন্ত কাজ করেন। ঠিক মতো খাওয়ার সময়ও পান না তারা। কিন্তু এবারের চিত্র অনেকটা ভিন্ন। পাইকারি মার্কেটগুলোতে তেমন কোনো ভিড় নেই।

এক কারখানার মালিক আব্দুর রহমান জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও কারখানায় পুরোদমে কারিগররা কাজ শুরু করে। কিন্তু মার্কেটে বেচা-কেনা কমে যাওয়ায় অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন তিনি।

শাহীন সুজের স্বত্বাধিকারী মো. শাহীন আলম জানান, বাজারে ভারতীয় ও চায়না জুতার দখলের কারণে দেশীয় পাদুকার খুবই নাজুক অবস্থায়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এই সময়ে তিনি অর্ধেক টাকাও বেচাকেনা করতে পারেননি।

ভূঁইয়া সুজের মালিক মো. জহির ভূঁইয়া মনে করেন, সরকার বাজারের চায়না ও ভারতীয় জুতা বিক্রি বন্ধ না করলে এক দিন দেশীয় পাদুকা শিল্প হুমকির মুখে পড়বে। তাই দ্রুত দেশের বাজাররে বিদেশী জুতা প্রবেশ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, এমনটাই আশা করেন পাদুকার সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার কারিগর কারখানার মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন :

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদে আরটিভির পর্দায় নিলয়ের ‘এক পায়ে জুতা’
১০ টাকায় ঈদবাজার
চট্টগ্রামে জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন
X
Fresh