ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে এসে বিপদে রোগীরা
প্রচণ্ড গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে শরীয়তপুরে। এ জেলার সদর হাসপাতালে হঠাৎ ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়ে গেছে।
গেলো দু’দিনে প্রায় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। ডায়রিয়ার রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে অনেক বেড পাচ্ছে না। ফলে মেঝে ও বারান্দায় বিছানা দিতে হচ্ছে অনেক রোগীকে।
চিকিৎসক বলছেন গরমে ও রমজান মাসে মুখরোচক খাবার ভাজা পোড়া খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া বেশী দেখা দিয়েছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডে কোনো সিট ফাঁকা নেই। রোগীরা ঠাসাঠাসি করে শুইয়ে আছে। ওয়ার্ডে ৯টি সিট থাকলেও রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী। শিশু ও নারী পুরুষ মিলে কমপক্ষে ৩৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নেই পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা। বাইরে থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে আনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। ফ্যানেরও রয়েছে সংকট। এছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডের টয়লেটে দুর্গন্ধের জন্য ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : কুলাউড়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত সর্দার নিহত
--------------------------------------------------------
অন্যদিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নার্স কম, আয়া নেই বলেই চলে। ডাক্তারও মাত্র ১ জন । তাই রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
রোগী আমিরজান বলেন, ৩দিন যাবত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কোন বিছানা না পেয়ে বারান্দায় আছি। তেমন কোনো চিকিৎসা সেবা পাই না।
তুলাসার গ্রামের রিনা রানী বলেন, আমার স্বামীকে গতকাল ভর্তি করেছি। কোনো ডাক্তার নেই, নার্স নেই। ডাক্তারকে ডাকলে তিনি রাগ করে।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ আবদুল্লাহ বলেন, প্রচণ্ড গরমে ভাজা পোড়া খাওয়ার কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে রোগীদের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন :
এসএস
মন্তব্য করুন