নিহত শ্রমিকের মরদেহ কাঁধে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার ফাঁসির দাবি
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতার নির্যাতনে নিহত নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ কাঁধে নিয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার দুপুরে নিহত নির্মাণ শ্রমিক মোস্তফা গান্ধার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডামুড্যার গ্রামের বাড়ি থেকে দারুল আমনে পৌঁছে।এসময় এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলার নির্মাণ শ্রমিকদের উদ্যোগে উপজেলা সদরে নিহতের মরদেহ কাঁধে নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন খানের ফাঁসির দাবি জানান শ্রমিকরা।
প্রসঙ্গত, ডামুড্যা উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা সুজন খান নির্মাণ শ্রমিক মোস্তাকে তার বাড়ির কাজ করে দেয়ার কথা বলেন। বৃষ্টির পনিতে মোস্তফার ক্ষেতের বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় সে সুজন খানের বাড়ির কাজ করতে পারেনি। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডামুড্যা বাজারের নদীর উত্তর পাশে আওরঙ্গের মোর নামক স্থানে একটি চায়ের দোকানে মোস্তফা চা খাচ্ছিল।
এসময় সুজন খান গিয়ে জানতে চান কেন কাজ করে দেয়নি। একপর্যায়ে সুজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মোস্তফার। কিছুক্ষণ পরে দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন খানের ছেলে ও ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তম্ময় ও সুজন মোস্তফাকে বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে মোস্তফা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
তার অবস্থার অবনতি হলে পরদিন মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর গতকাল শনিবার রাতে মোস্তফা গান্ধা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতর ভাই হানিফ ও ডামুড্যা থানা পুলিশ। মোস্তফাকে মারধরের পরদিন মঙ্গলবার তার শশুর আলী হোসেন বাদী হয়ে চেয়ারম্যানের ছেলে ও ছাত্রলীগ নেতা তম্ময়সহ চারজনকে আসামি করে ডামুড্যা থানায় একটি মামলা করেন।
নিহতের ভাই হানিফ গান্ধা বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আমাদের বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় সুজনের কাজ করে দিতে পারেনি। এ কারণে আমার ভাইকে মারপিট করা হয়। এতে তার মৃত্যু হয়।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মোস্তফার শ্বশুর আলী হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেছে। আমরা আসামিদের ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন :
জেবি/পি
মন্তব্য করুন