• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ধানের দাম না পেয়ে লোকসানের মুখে হাওরের কৃষক

মো. আল আমিন টিটু, ভৈরব

  ২০ মে ২০১৮, ১৪:৩২

দেশের বন্দরনগরী ভৈরবের ধানের মোকামে নতুন ধান আমদানি শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে হাওরে প্রায় ৮০ শতাংশ জমির বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। ফলে আড়তগুলিতে প্রতিদিন হাওর থেকে নৌপথে হাজার হাজার মণ ধান আসছে। কিন্তু বাজারে ধানের ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ প্রান্তিক কৃষকরা। কৃষকদের দাবি অকাল বন্যায় গেল বছর ফসল ভেসে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। আর এ বছর জমিতে অধিক ফলন উৎপাদন হলেও বাজারে ন্যায্য দাম না থাকায় লোকসান যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। তাছাড়া গেল সপ্তাহে বৈরী আবহাওয়ার কারণেও প্রায় ২০ শতাংশ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। ফলে দিন দিন কৃষকের ঘাড়ে বাড়ছে দেনার বোঝা।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল অষ্টগ্রাম, মিঠামইন, ইটনা, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নদী পথে ভৈরবের আড়তগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ ধান আসছে। এসব ধান প্রতি মণ (মোটা) চারশ’ ৫০ টাকা থেকে পাঁচশ’ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর চিকন প্রতি মণ ধান পাঁচশ’ ৫০ টাকা থেকে ছয়শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কৃষকরা জানায়, প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন বাবদ বীজ রোপণ, পরিচর্যা, সার, কীটনাশক ও সেচের জ্বালানি তেলসহ সব মিলিয়ে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বিঘা প্রতি গড়ে ১৫-১৮ মণ ধান উৎপাদন হয়। ফলে প্রতি মণ ধান ছয়শ’ টাকা থেকে সাতশ’ টাকা দর জমিতেই পড়েছে। কিন্তু বাজারে সেই ধান তার চেয়েও কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ বছর বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য দাম না পেয়ে ফের লোকসানের মুখে পড়েছে প্রান্তিক কৃষকরা। এছাড়া এক মণ ধানের দাম দিয়ে একজন শ্রমিকের মাত্র এক দিনের মজুরি পরিশোধ করতে পারেন তারা। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

এদিকে বাজারে প্রচুর পরিমাণে নতুন চাল আমদানি হওয়ায় চালের দামও কমে গেছে। ফলে ধানের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।