• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাবা-ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন: ৬ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি মূলহোতা

অনলাইন ডেস্ক
  ১৬ মে ২০১৮, ১৮:২১

শরীয়তপুর সদর উপজেলার সন্তোষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র ও তার বাবাকে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেধে নিষ্ঠুর ও নির্মম নির্যাতন করার ঘটনার ৬দিন পার হলেও এর মূলহোতা হালিম বেপারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে যায়নি।

মিডিয়াতে সংবাদ প্রচারের পর গেলো সোমবার রাতে পালং মডেল থানায় মামলা নিয়ে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে মঙ্গলবার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে নেয়া হয়। আদালতের বিচারক আগামী ১৭ মে রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করে আসামীদেরকে জেলহাজতে পাঠান।

এদিকে ঘটনার মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় ভুক্তভোগী পরিবারে আতংকে দিন কাটাচ্ছে। পুলিশ বলছে, অচিরেই মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হবে। অভিযান অব্যাহত আছে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ডিএসসিসির উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরলেন মেয়র খোকন
--------------------------------------------------------

উল্লেখ্য, গেলো ১ মে দিবাগত রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামের হালিম বেপারীর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাহের চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামের খোকন মোল্যার ছেলে শামীমকে (১১) বুধবার (৯ মে) সকাল ৯টার দিকে একই গ্রামের আবু আলম মোল্যার বাড়ির কাছ থেকে ধরে নিয়ে হালিম বেপারীর বাড়ির কাঁঠাল গাছের সঙ্গে কোমরে লোহার শিকল বেঁধে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করা হয়।

এসময় নির্যাতনকারীরা শিশু শামীমকে মাটিতে শুইয়ে বুকের উপর পাথর চাপা দেয়। তারা শুকনো মরিচের গুড়ো খাওয়ায়। এরপর শিশু শামীমের গলার ভেতর গরম পানি ঢেলে নির্মম ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চালায়। মারপিট সহ্য করতে না পেরে শিশুটি আত্মচিৎকার করলেও তারা কোনো রকম সহানুভূতি দেখায়নি। এর কিছুক্ষণ পর ওই বাড়ির সামনে দিয়ে শিশুটির বাবা খোকন মোল্যা ভ্যান চালিয়ে আসার সময় তাকেও ধরে নিয়ে একই শিকলে বেঁধে মারপিট করা হয়।

ওইদিন সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে এ নির্যাতন। খবর পেয়ে সন্তোষপুর পুলিশ ওইদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে শিশু শামীম ও তার বাবা খোকন মোল্যাকে উদ্ধার করে। এসময় নির্যাতিতার পক্ষে সন্তোষপুর পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দাখিল করে।

ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ অভিযোগ গ্রহণ না করে পালং মডেল থানায় মামলা করার পরামর্শ দেয়। আহতদের অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ১০ মে সকালে শামীম ও তার বাবা খোকন মোল্যাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।

অভিযোগ ওঠে ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ এর সহযোগিতায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি শালিস-মীমাংসার নামে ধামাচাপার চেষ্টা করে। পরে এ নির্মম ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের ঘটনায় কোনো বিচার না পেয়ে এলাকার জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য লোকজন সোমবার বিকেলে সাংবাদিকের জানায়। এ সংবাদ মিডিয়াতে প্রকাশ ও প্রচার করার ৫ দিন পরে খোকন মোল্যার স্ত্রী ফাহিমা বেগমকে ডেকে এনে বাদী করে পালং মডেল থানায় মামলা নেয় পুলিশ। পরে পুলিশ করম আলী বেপারী, সাহেব আলী বেপারী ও সুমন বেপারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার আদালতে হাজির করা হয় এবং ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা নাগ আগামী ১৭ মে রিমান্ড শুনানির জন্য দিনধার্য্য করে আসামিদেরকে জেলহাজতে পাঠান।

সন্তোষপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ বলেন, মঙ্গলবার আসামিদেরকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক আগামী ১৭ মে রিমান্ড শুনানির জন্য দিনধার্য্য করেছে। আশা করছি ঘটনার মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করতে পারবো

আরও পড়ুন :

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নারী হাজতিকে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জন বদলি
যে কারণে জেল থেকে বের হয়েই স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী 
অপবাদ দিয়ে স্কুলশিক্ষককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন
প্রবাসীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর জরায়ুতে মরিচ দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ
X
Fresh