• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

খুলনা সিটি করপোরেশন

অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা

এ আর বাদল, খুলনা থেকে ফিরে

  ১০ মে ২০১৮, ১৫:৪১

অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগে চলছে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বড় দুই দলের প্রচার। ওয়ারেন্ট না থাকা সত্ত্বেও দলের নেতাকর্মীদের পুলিশ আটক করছে বলে অভিযোগ করছে বিএনপি’র মেয়রপ্রার্থীর। আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী বলছেন, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির কাজ চলছে।

এমন অবস্থায় পুলিশ বলছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে, শান্তি-শৃঙ্খলার রক্ষায় সন্ত্রাসীদের আটক করা হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিন, ১৪ থেকে ১৫টি মামলা হচ্ছে।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট ১৫ মে। দিন যত ঘনাচ্ছে তত জোরালো হচ্ছে প্রার্থীদের প্রচার। নিজ দলের মেয়রপ্রার্থীর পক্ষে জনমত তৈরি করতে ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে এসেছেন অনেক নেতা-কর্মী।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় পা হারালেন ফায়ার সার্ভিসকর্মী
--------------------------------------------------------

বিএনপির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেন, বিএনপি নির্বাচনী মাঠ থেকে যেন সরে যায়, সেজন্য আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিতে প্রতিদিনই রুটিন কোরে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কয়েকদিন আগে তিনি নির্বাচনী প্রচার থেকেও সরে যান। পরে অবশ্য আবার ফিরেও আসেন।

মঞ্জু আরও বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের কোনো অভিযোগ নেই। হঠাৎ করে একদিন রাতে সারা শহরে ৭টি থানায় পুলিশ ব্লকরেড শুরু করে। সেসময় নেতাকর্মীদের বাড়ি তল্লাশি, ভাংচুর এবং পরিবারদের ভয় দেখানো হয়েছে। এটা স্বাভাবিক নয়।

তবে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে কেবল তাদেরকেই আটক করছে। আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদেরও গ্রেপ্তার করেছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যাদের নামে মামলা আছে পুলিশ তাদেরই গ্রেপ্তার করছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মতে, অভিযোগ ছাড়া কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, বিএনপির এমন অভিযোগ অসত্য।

এ ব্যাপারে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনালী সেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভোট সুষ্ঠু করতে কাজ করা হচ্ছে। আমার নিয়মিত মামলার পাশাপাশি আগের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছি। এখানে কে কোন দলের সেটি দেখার বিষয় না। আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করছি। এখন কোনো দল যদি কোনো সন্ত্রাসীকে নিজের কর্মী বলে দাবি করে তাহলে সেই দায়টি আমাদের নয়।

এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনে গেলো পাঁচ বছরে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। বিএনপি’র বর্তমান মেয়রপ্রার্থীরও অভিযোগ সিটি করপোরেশনে তার দলের মেয়র থাকায়, সরকার বরাদ্দের ৬০ ভাগ কমিয়ে তাকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করেছে। কোনো প্রকল্পও পাস করা হয়নি। অপরদিকে জয়ী হতে পারলে ছয় মাসের মধ্যে সিটির চেহারা পাল্টে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী।

৪৫ দশমিক ছয় পাঁচ বর্গকিলোমিটার আয়তনের খুলনা সিটিতে জনসংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ। ভোটার সাড়ে চার লাখ।

গত পাঁচ বছরে বলার মতো তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি এই মহানগরে। ফলে বঞ্চিত হয়েছেন নগরবাসী। এজন্য বিএনপি নেতারা দায়ী করছেন সরকারকে। নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলছেন, মিথ্যা মামলা, হয়রানি, বরাদ্দ বাতিল ও প্রকল্প পাস না করার কারণে কাজ করা যায়নি।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, বিএনপি মেয়ররা উন্নয়নে ব্যর্থ। এজন্যই জনগণ এবার নৌকায় ভোট দিতে চায়।

আরও পড়ুন :

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh