পৌরসভাতেই ভালো ছিল গাজীপুর সিটির গ্রামবাসীরা!
দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুরের বড় অংশ জুড়ে আছে গ্রাম ও অজপাড়াগাঁ। গত পাঁচ বছরে নগরের অংশগুলোতে উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়ি হলেও গ্রামগুলো আছে আগের মতোই। তাই গ্রামবাসীর আক্ষেপ পৌরসভা থাকতেই ভাল ছিলেন তারা। তবে ফের ভোট আসায় নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষ। মেয়র প্রার্থীরাও এসব এলাকার দিকে নজর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
ঢাকার দুই সিটির আয়তন যতটুকু, তার চেয়েও ৬০ বর্গকিলোমিটার বড় গাজীপুর সিটি করপোরেশন। গাজীপুর, টঙ্গী, কালিয়াকৈরের মতো শহর এলাকা যেমন আছে এই সিটিতে তেমনি রয়েছে দাখিণ খান, হায়দরাবাদ, মৈরান মেঘডুবির মতো অনেক গ্রাম।
একরের পর একর ফসলি জমির দেখা মেলে মেঠোপথের দু’দিকে। ধান মাড়াইয়ের কর্মযজ্ঞ চলছে বাড়ি বাড়ি। মাড়াই করা ধান রোদে শুকাচ্ছেন, ঘরণীরা। ইট-কাঠের ঘর যেমন আছে, ছন-বেড়া কিংবা মাটির তৈরি ডেরাও জানান দিচ্ছে কোলাহলমুক্ত গ্রামীণ আবহের।
দাখিন খানের ইট বিছানো পথ। বেশিরভাগ পথই চলাচলের অনুপযোগী। নাগরিক জীবনের সব খরচই দিতে হয়। অথচ সুবিধা নেই। ড্রেনেজ বা স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। গ্যাস-বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই। এমন ভুরি ভুরি অভিযোগ ও চাহিদা গ্রামবাসীর।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ডাস্টবিনে পাওয়া শিশুটিকে দত্তক নিতে চায় অনেকেই
--------------------------------------------------------
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আগে যখন আমাদের পৌরসভা ছিল তখনই আমরা ছিলাম। সিটির করপোরেশন হওয়ার পর সিটিতে যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় সেটা আমারা পাচ্ছি না। গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ যে হারে নেয়া হয় সে হারে সেবাও পাই না।
১৫ মে সিটি করপোরেশনে ভোট। একে কেন্দ্র করে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস মিলছে তাদের কথায়।
আওয়ামী লীগরে প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের এইখানে বাসাবাড়ির পানি রাস্তায় ওঠে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানি মানুষের ঘরে ঘরে ঢুকে যাচ্ছে। এই সমস্যা খেকে মানুষকে কিভাবে মুক্তি দেয়া যায়, তা দেখা হচ্ছে।
বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, শ্রমিক, মেহনতি মানুষদের জন্য যা বাস্তব, গ্রহণযোগ্য এবং যা করা সম্ভব তাই করা হবে।
আরও পড়ুন :
এসএস
মন্তব্য করুন