কমিশন না দেয়ায় মালিককে মারধর, বন্ধ সব ওষুধের দোকান
ক্লিনিকের মালিককে ওষুধের কমিশন দিতে অস্বীকার করায় দোকানে হামলা করে মালিককে মারধোর করেছে এক ক্লিনিক মালিক।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে নড়াইলের সকল ওষুধের দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট করেছে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি নড়াইল জেলা শাখা।
অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেয়ায় সকাল ১১টা থেকে সদর হাসপাতাল মার্কেটসহ সব ওষুধের দোকার বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে জরুরি ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের ওষুধ কিনতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ জনগণ।
স্থানীয় বাজার থেকে ওষুধ কিনতে না পেরে অনেকে পাশের জেলা যশোর থেকেও প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে আনছেন।
জেলা ওষুধ ব্যবসায়ী (কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট) সমিতির অভিযোগ, সোমবার রাত ১০টার দিকে নড়াইল শহরের জনতা সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক শিপন সিকদার সদর হাসপাতাল মার্কেটে বলাকা ফার্মেসী থেকে এক রোগীর অস্ত্রোপচারের ওষুধ নিতে পাঠায়। এর কিছুক্ষণ পরে এসে ক্লিনিক মালিক শিপন সিকদার দোকানির কাছে ওষুধের কমিশন দাবি করে। দোকান মালিক নিতাই সাহা ক্লিনিক মালিক শিপনকে কমিশন দিতে অস্বীকৃতি জানালে শিপন লোকজন নিয়ে বলাকা ফার্মেসীতে হামলা ও ভাংচুর করে।
এসময় বাধা দিতে গেলে বলাকা ফার্মেসী মালিক নিতাই সাহাকে (জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সহসভাপতি) লাঞ্ছিত করে। এ সময় আশপাশের দোকানের লোকজন এগিয়ে গেলে শিপন ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির নড়াইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল বাকি বলেন, আমাদের একজন ওষুধ ব্যবসায়ীকে মারা হয়েছে, এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং সন্ত্রাসী ক্লিনিক মালিক শিপনকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এই ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।
অভিযুক্ত জনতা ক্লিনিকের মালিক শিপন সিকদার বলেন, কোনো মারামারি বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। আমার ক্লিনিকে অপারেশনের এক রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধ না দিয়ে একটি ভুল ওষুধ দেয় বলাকা ফার্মেসী। এ ব্যাপারে জানতে গেলে ফার্মেসীর লোকেরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।
এসএস
মন্তব্য করুন