• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কোটা সংস্কার: মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাবি শিক্ষার্থীরা

জাবি সংবাদদাতা

  ০৯ এপ্রিল ২০১৮, ১২:১৫

কোটার কারণে চাকরি না পেয়ে সমাজ ও পরিবার থেকে নানান বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনেক হয়েছে, আর না। সহ্যের বাধ ভেঙে গেছে। কোটা সংস্কার না হলে আন্দোলন আরও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে(জাবি) কোনো ক্লাস হবে না। শুধু তাই নয় জাবির সামনে দিয়ে গাড়ি তো দূরের কথা পিপড়াও চলতে দিবো না।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে এসব কথা বলেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও বাড়ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এরপর থেকে রাস্তার দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : কোটা সংস্কার: বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ
--------------------------------------------------------

এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এসে শেষ হয়। পরে সেখানেই সকাল সাড়ে দশটায় অবস্থান নেয় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, বর্তমানে দেশের অধিকাংশ মানুষ কোটা পদ্ধতি সংস্কারের পক্ষে। সবার মুখে একই কথা, কোটা পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবনা করার দিন এসেছে। বর্ধিত জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে কোটা পদ্ধতির পরিবর্তন, পরিমার্জন এখন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের মেধাবীদের সুযোগ করে দিতে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের ভাব মর্যাদা রক্ষা করতে মেধাবীদের সুযোগ দেয়া আবশ্যক। কোটা দিয়ে যারা সহজে সুযোগ পেয়েছে বা পাচ্ছে, তারা প্রায়ই অযোগ্য ও কম মেধাসম্পন্ন। তারা যদি সত্যিকার অর্থে মেধাবী হয়ে থাকে, তবে তাদের তো কোটা পদ্ধতির আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে সারাদেশে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। তাই অংশ হিসাবে ১৪ মার্চ ৫ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দিতে সচিবালয় অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশি ধরপাকড় ও আটকের শিকার হন তিন আন্দোলনকারী। এরপর আরও বেশ কয়েকটি কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবি হচ্ছে- সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।

আরও পড়ুন :

এমসি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh