• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পাহাড়ে শুরু হলো বৈসাবি উৎসব

রাঙামাটি প্রতিনিধি

  ০৬ এপ্রিল ২০১৮, ১০:২৫

রাঙামাটিতে বাংলা নববর্ষ, বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক ও বিষু উপলক্ষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এর যৌথ আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙামাটি সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু করে রাঙামাটির প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এরপরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বৈশাখকে সামনে রেখে ইলিশ এখন ‘মহারাজা’
--------------------------------------------------------

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সদর জোন কমান্ডার রিদওয়ানুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রুনেল চাকমা।

দীপংকর তালুকদার বলেন, জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভাষা, সংস্কৃতি বিচিত্র থাকলেও সবাই মিলে আমরা একত্রে উৎসব পালন করি।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন জাতির বসবাস। এই বিজুতে প্রত্যাশা থাকবে আমরা সবাই মিলেমিশে এখানে বসবাস করবো। এসব সংস্কৃতি গবেষণার মাধ্যমে পাহাড়ি ও বাঙালির যেসব ঐতিহ্য, কৃষ্টি রয়েছে তার শেকড়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এই উৎসব শুধুমাত্র পার্বত্য এলাকা নয় সারাবিশ্বে যেখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন বসবাস করে সবার করা প্রয়োজন।

আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, রাঙামাটিতে ১০ ভাষাভাষি ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি। এ উৎসবকে ঘিরে পাহাড়ি-বাঙালিসহ সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রতির মিলন মেলায় পরিণত হবে। বক্তারা আরও বলেন, এ উৎসবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্য পোশাক, খাবার ইত্যাদি ঐতিহ্যগুলো রক্ষা করতে হবে।

এদিকে মেলাকে ঘিরে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বসানো হয়েছে বিভিন্ন স্টল। সবগুলো স্টল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাচাঙ ঘরের আদলে বাঁশ আর কাঠ দিয়ে তৈরি। আর এসব স্টলে স্থান পেয়েছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, চাক, পাংখোয়া, লুসাই, খুমী ও খিয়াং নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি, সংস্কৃতি, খাবার, নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি ও বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী।

এদিকে বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু মেলায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করবেন।

এছাড়া রয়েছে শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন খেলাধুলার প্রতিযোগিতা, চাকমা নাটক, পাঁচন রান্না প্রতিযোগিতাসহ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ, পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর জীবনধারার ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী। মেলা প্রতিদিন বিকেলে তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আরও পড়ুন :

জেবি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh