• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

স্ত্রীর পরকীয়ার জেরেই রথীশচন্দ্র খুন!

রংপুর প্রতিনিধি

  ০৪ এপ্রিল ২০১৮, ১০:৫৪

স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরেই রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা রথীশচন্দ্র ভৌমিক খুন হয়েছেন।

নিখোঁজের পাঁচদিন পর মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে নগরীর মাহিগঞ্জ মোল্লাপাড়া এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মাটির নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত রথীশচন্দ্রের স্ত্রী দীপা ভৌমিক, কন্যা অদিতি ভৌমিক এবং দীপা ভৗমিকের কথিত প্রেমিক কামরুল ইসলাম জাফরীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপরেই বাবু সোনা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ছাত্রাবাসে গলাকাটা মরদেহ, গুলিবিদ্ধ কলেজছাত্র
--------------------------------------------------------

র‌্যাব-১৩ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আরমিন রাব্বী জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিককে আটক করে র‌্যাবের একটি দল। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ওই এলাকার কামরুল নামে এক শিক্ষকের বড় ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির মাটির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ শনাক্তের জন্য বাবু সোনার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক সুবল ও স্ত্রী দীপাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা গিয়ে বাবু সোনার মরদেহ শনাক্ত করেন।

এদিকে, গেলো সোমবার তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলাম ও মতিয়ার রহমানকে আটকের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। সোমবার কামরুল ও মতিয়ারকে আটক করা হলেও তখন কিছু জানায়নি পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের আটকের কথা স্বীকার করেন কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিঞা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীপা ভৌমিক তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলামের সঙ্গে দীপার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় গুঞ্জন ওঠে। পরকীয়া সম্পর্কের জেরে কামরুল ও দীপা পরিকল্পিতভাবে বাবু সোনাকে হত্যার পর তার মরদেহ মাটির নিচে পুঁতে রেখেছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামরুল ইসলামের পৈত্রিক নিবাস হচ্ছে তাজহাট মোল্লাপাড়া। তিনি পরিবার নিয়ে নগরীর রাধাবল্লভ এলাকায় বসবাস করলেও মোল্লাপাড়ার বাড়িতেও নিয়মিত যাতায়াত করতেন।

গেলো শুক্রবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন বাবু সোনা। ওইদিন তার স্ত্রী বলেছিলেন, বাবু সোনা সকাল ছয়টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যান। কোথায় গেছেন সে বিষয়ে বাড়িতে কাউকে কিছু বলেননি।

দীপা ভৌমিকের এমন বক্তব্যের পর মঙ্গলবার তারই স্বীকারোক্তিতে মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা চাঞ্চল্যকর জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও এবং মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যাকাণ্ডের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী ছিলেন।

এছাড়াও রংপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সহ-সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, রংপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন:

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাবুলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় খুন হন মিতু
সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে
সাবেক স্ত্রী তিন্নি সম্পর্কে হিল্লোলের মন্তব্য 
নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
X
Fresh