বিউটি ধর্ষণ ও হত্যা
বাবুল সত্য গোপন করছে বলে ধারণা করছে র্যাব
হবিগঞ্জে কিশোরী বিউটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তারকৃত বাবুল মিয়া সত্য গোপন করছে বলে ধারণা করছে র্যাব।
শনিবার দুপুরে শেখপাড়া কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান র্যাব ৯ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।
এর আগে আজ শনিবার ভোরে সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে বিউটি আক্তার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল মিয়াকে র্যাব ৯ এর সদস্যরা গ্রেপ্তার করে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: বিউটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
--------------------------------------------------------
সংবাদ সম্মেলনে আলী হায়দার আজাদ আহমেদ আরও বলেন, বাবুল মিয়া অসংলগ্ন কথা বলছে। ধারণা করা হচ্ছে বাঁচার জন্য সে সত্যকে গোপন করছে।
তিনি বলেন, গত ২১ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা।
১ মাস তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এক মাস নির্যাতনের পর বিউটিকে কৌশলে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল।
এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন। পরে মেয়েকে সায়েদ আলী তার নানার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। এরপর বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬ মার্চ রাতে বিউটি আক্তারকে লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামের তার নানার বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে ফের ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ শায়েস্তাগঞ্জের হাওরে ফেলে রাখা হয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে গত ১৭ মার্চ তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলমচান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:
জেবি/পি
মন্তব্য করুন