বিউটি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড: তদন্ত কমিটি গঠন
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বিউটি নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ.স.ম শামছুর রহমান ভূইয়াকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য দুই সদস্যরা হলেন বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা ও সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।
কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ‘বিএনপি অন্য দিন চাইলে অবশ্যই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে’
--------------------------------------------------------
প্রসঙ্গত, শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের সায়েদ আলীর মেয়ে ও স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী বিউটি আক্তারের (১৫) সঙ্গে একই গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
বাবুল গেলো ২১ জানুয়ারি বিউটিকে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে কৌশলে বিউটিকে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ১ মার্চ বিউটি আক্তারের বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চাঁনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি ৪ মার্চ শায়েস্তাগঞ্জ থানায় পাঠানো হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
পরে সায়েদ আলী ১৬ মার্চ বিউটি আক্তারকে লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ওই রাতেই বিউটি আক্তার নানার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।
অনেক স্থানে খোঁজাখুজির পর কোথাও না পেয়ে পরদিন ১৭ মার্চ সকালে শায়েস্তাগঞ্জ হাওরে বিউটি আক্তারের মরদেহ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
জেবি/জেএইচ
মন্তব্য করুন