• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মসজিদে তাবলিগ জামাতের অবস্থান নিয়ে উত্তেজনা

রাঙামাটি প্রতিনিধি

  ০৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১৩:২৫
ফাইল ছবি

রাঙামাটি শহরের পুরাতন বাসস্টেশন জামে মসজিদে তাবলিগ জামাতের একটি দলের অবস্থান নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মসজিদে তাবলিগ জামাতের অবস্থানের পক্ষে-বিপক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বাধে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে গতকাল রোববার এশার নামাজের পর তাদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়া হয়। এসময় হাতাহাতির ঘটনায় দুইজন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন জামে মসজিদে তাবলিগ জামাতের ১৪ জনের একটি দল প্রবেশ করে। তারা মসজিদে তাদের কার্যক্রম চালানোর জন্য ইমামের অনুমতি চাইলে ইমাম না করে দেন।

এসময় তাবলিগের দলটি মসজিদ পরিচালনা কমিটির তিনজন সদস্যের সহযোগিতায় মসজিদে অবস্থান নেন। আছরের নামাজের পর ইমাম আবারো তাদের বের হয়ে যেতে বললে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব তাদের পক্ষে অবস্থান নেন।

ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব মসজিদের ইমামকে বলেন তাবলিগ জামাতকে সহযোগিতা করার জন্য সরকারিভাবে নির্দেশনা আছে। মসজিদের লোকজন যদি কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা করে তবে আমাকে জানাবেন।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য বখতেয়ার আরটিভি অনলাইনকে জানান, দুপুরে তাদেরকে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু আছরের নামাজের পর জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবের অনুরোধে তাদেরকে মসজিদে অবস্থানের সুযোগ দেই।

মসজিদের ইমাম মাওলানা মুস্তফা হেজাজী আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এই মসজিদে ৫০ বছরের মধ্যে তাবলিগ জামাতের কোনো অবস্থান ছিল না। তাছাড়া তারা যেভাবে হাড়ি-পাতিল ও চুলা নিয়ে মসজিদে অবস্থান নেয় সেটা খুবই দৃষ্টিকটূ। আরেকটি বিষয় হচ্ছে মসজিদে তাবলিগ জামাতের অবস্থান নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতবিরোধ রয়েছে। মূলত এই দুটি কারণে তাদেরকে মসজিদে অবস্থানে নিষেধ করা হয়।

এদিকে এশার নামাজের পর তাবলিগ জামাতকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়ায় স্থানীয় লোকজন জড়ো হতে থাকে। তাবলিগ জামাতের পক্ষেও বেশকিছু লোকজন এসে জড়ো হয়। নামাজের পর স্থানীয় লোকজন তাবলিগ জামাতের দলটিকে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বললে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় তাবলিগ জামাতের লোকজন মুসল্লি ইকবালের ওপর চড়াও হয় এবং তাকে মারধর করে। এসময় তারা দৌড়ে প্রাণে বাঁচে।

তাবলিগ জামাতের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া হাজী জানে আলম সওদাগর আরটিভি অনলাইনকে জানান, আমরা প্রশাসনের সহায়তায় মসজিদ থেকে তাবলিগ জামাতের লোকজনদের বের হয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। এসময় তাবলিগ জামায়াতের কিছু লোকজন কয়েকজনের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করি। পরে পুলিশ তাদের মসজিদ থেকে বের করে দেন।

তাবলিগ জামাত দলটির প্রধান আজহার আরটিভি অনলাইনকে জানান, এশার নামাজের পর লোকজন জড়ো হয় এবং পুলিশ এসে আমাদের বের হয়ে যেতে বলে।

হামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, হামলার ঘটনা ঘটেনি। কিছু লোক জিনিসপত্র ফেলে দিতে চেয়েছে। তবে মুরব্বিদের বাধায় তা পারেনি। পরে পুলিশের সহায়তায় আমরা মসজিদ থেকে বের হয়ে যাই।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আরটিভি অনলাইনকে জানান, মসজিদে তাবলিগ জামাতের অবস্থান নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। যে কারণে স্থানীয়দের অনুরোধে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তাদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়া হয়।

তিনি আরো জানান, দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু পুলিশের শক্ত অবস্থানের কারণে বিশৃঙ্খলা হয়নি। এ ব্যাপারে থানায় কোনো পক্ষই মামলা কিংবা অভিযোগ করেনি।

জেবি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জাতীয় মসজিদে ঈদের ৫ জামাতের সময় জানা গেল
বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্য জনগণের ওপর অত্যাচার : শেখ পরশ
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত সাড়ে ৮টায়
বিয়ের একদিন পরই যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
X
Fresh